নয়াদিল্লি: বেশ কয়েক শতাব্দী পর বিশ্বে অনেকটাই হ্রাস পাবে জনসংখ্যা৷ যদিও তা চিরদিনের জন্য নয়৷ এই জনসংখ্যা হ্রাস ঘটবে মাত্র কয়েক দশকের জন্য৷ এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল গবেষণায়৷ সম্প্রতি আন্তর্জাতিক জার্নাল ল্যানসেটে তা প্রকাশিত হয়েছে৷
আরও পড়ুন- ডেল্টা না ওমিক্রন, কার মারণক্ষমতা বেশি? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা
গবেষকরা বলছেন, বর্তমান বিশ্ব জনসংখ্যা প্রায় ৭৮০ কোটি৷ ২০৬৪ সালের মধ্যে ঘটবে জনবিস্ফোরণ৷ বলা যায়, জনসংখ্যার পরিসংখ্যান শিখর ছোঁবে৷ আজ থেকে ৪৩ বছর পর বিশ্বের জনসংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় ৯৭০ কোটি। এর পর থেকে ক্রমেই শুরু হবে উল্টো পথের যাত্রা৷ কয়েক দশকের মধ্যে একধাক্কায় অনেকটাই হ্রাস পাবে বিশ্বের জনসংখ্যা। ২১০০ সালে বিশ্বের জনসংখ্যা কমে হবে ৮৮০ কোটি। অর্থাৎ চারদশকে প্রায় ৯০ কোটি জনসংখ্যা হ্রাস পাবে৷
গবেষকপত্রের প্রধান লেখক তথা ইনস্টিটিউট ফর হেল্থ ম্যাট্রিক্স অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন (আইএইচএমই)-এর অধ্যাপক স্টেইন ইমিল ভলসেট জানান, ১৪ শতকে সমগ্র বিশ্বে মহামারির আকার নিয়েছিল প্লেগ। যার ধাক্কায় সেই সময় জনসংখ্যা অনেকটা কমে গিয়েছিল। এর পর অবশ্য ফের জনসংখ্যার হার বৃদ্ধি পেতে থাকে৷ কিন্তু একবিংশ শতকে কেন এতটা কমে যাবে জনসংখ্যা?
এর জবাবে স্টেইন বলেন, একবিংশ শতকে জনসংখ্যা হ্রাসের কারণ কোনও মহামারি নয়৷ বরং মানুষের সচেতনতা ও শিক্ষাই হবে এর নেপথ্য কারণ। স্টেইন আরও বলেন, ‘‘অনেকেরই অভিমত, মহামারী বা দুর্ভিক্ষের জেরে প্রভুত মানুষের মৃত্যু হবে৷ আর সেই কারণেই কমে যাবে বিশ্বের জনসংখ্যা। কিন্তু, আমাদের পূর্বাভাস সঠিক প্রমাণিত হলে, মহামারী বা দুর্ভিক্ষের জন্য জনসংখ্যা হ্রাস পাবে না। বরং এর জন্য দায়ী হবে নিম্নমুখী জন্মহার। এর জেরেই কমবে সার্বিক পরিসংখ্যান।’’ তিনি আরও বলেন, এক্ষেত্রে দু’টি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ৷ প্রথমত, জন্মনিয়ন্ত্রণে আধুনিক পদ্ধতির উন্নতি সাধন। এবং দ্বিতীয়ত হল, নারী শিক্ষার উন্নয়ন।