লন্ডন: ওমিক্রন আতঙ্ক গ্রাস করছে বিশ্বকে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। তাই ভ্যাকসিনের অপর জোর দিচ্ছে একাধিক দেশ। আর করোনার এই নয়া প্রজাতির আতঙ্কের কারণে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সিদের টিকার অনুমোদন দিল ব্রিটেন। কারণ সেখানে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ পার হয়ে গিয়েছে আবার। পাশাপাশি বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাও। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগজনক।
ব্রিটেনের ড্রাগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা মেডিসিনস অ্যান্ড হেলথকেয়ার প্রডাক্টস রেগুলেটরি এজেন্সি (এমএইচআরএ) জানিয়েছে, ৫-১১ বছর বয়সিদের জন্য ফাইজার-বায়োএনটেক-এর টিকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যথেষ্ট পরীক্ষার পর যখন দেখা গিয়েছে এই টিকা শিশুদের শরীরে নিরাপদ, তখনই এই টিকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানান হয়েছে তাদের তরফে। এই প্রেক্ষিতে এমএইচআরএ-র চিফ এগজিকিউটিভ চিকিৎসক জুন রেইন জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক তথ্য এবং পরিসংখ্যান খতিয়ে দেখার পর শিশুদের টিকায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, কারণ দেখা গিয়েছে এই বয়সিদের টিকার ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত কোনও গুরুতর সমস্যা ধরা পড়েনি। তাই ওমিক্রন আটকাতে যে টিকাকেই ভরসা করা হচ্ছে তা স্পষ্ট।
ইতিমধ্যেই আমেরিকার সংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ বিভাগের প্রধান অ্যান্টনি ফাঊচি জানিয়েছেন, ওমিক্রন ডেল্টার মতো অতটা ক্ষতিকর নয়। তবে এর অর্থ এমন নয় যে ওমিক্রন একেবারেই নিরীহ। করোনার নয়া ভেরিয়েন্টের এমন কিছু বিরল ক্ষমতা রয়েছে, যেটা ডেল্টার মধ্যে ছিল না। ফলে সেই ক্ষমতার কথা মাথায় রেখেই ওমিক্রন মোকাবিলার প্রস্তুতি সারে হবে৷ প্রায় একই কথা উল্লেখ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)৷ তবে এখনই ওমিক্রনের সামগ্রিক চরিত্র বোঝা না গেলেও বেশ কয়েকটি বিষয় একদম স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।