কলকাতা: রাজ্যের শাসক দল তথা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র জাগো বাংলার সম্পাদক পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে তিনি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী এবং বর্তমান শিল্পমন্ত্রীও। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের এই হেভিওয়েট নেতাই সম্প্রতি এসএসসি দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন। পার্থ ভূনিষ্ঠ অর্পিতার বাড়ি থেকেই গত সপ্তাহে বেনজিরভাবে মিলেছে কোটি কোটি টাকা। ফলে মুখে কিছু না বললেও আপাতত পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে শাসকদলের সমস্ত নেতা মন্ত্রীই। এর মধ্যেই আবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন যদি পার্থর অপরাধ প্রমাণিত হয় তাহলে তাঁকে কঠোরতম শাস্তি দেওয়া হলেও তিনি কিছু বলবেন না। এমতাবস্থায় সম্প্রতি সামনে এসেছে আরো একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যাচ্ছে যে মুখপত্রের সম্পাদক স্বয়ং পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজে শাসকদলের সেই মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’ তেই পার্থর নামের আগে আর ‘মন্ত্রী’ শব্দ ব্যবহার হচ্ছে না। জানা যাচ্ছে দুর্নীতি কাণ্ডে পার্থকে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই ‘জাগো বাংলা’ পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ‘মন্ত্রী’ বলে সম্মোধন করা বন্ধ করেছে। এমনকি তাঁর নামের আগে তৃণমূলের মহাসচিব পদটিকেও ব্যবহার করা হচ্ছে না। চলতি সপ্তাহের প্রথম দিন থেকেই জাগো বাংলাতে লেখা হচ্ছে শুধু পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত বলে রাখা ভালো, জাগো বাংলার সম্পাদক পার্থ চট্টোপাধ্যায় হলেও এই পত্রিকার দায়িত্বে রয়েছেন তৃণমূল সভানেত্রী স্বয়ং। এখনো পর্যন্ত জাগো বাংলা ছাপতে যাওয়ার আগে তা নিয়ম করে দেখেন তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে প্রাথমিকভাবেই মনে করা হচ্ছে পার্থের নামের আগে থেকে যে ‘মন্ত্রী’ এবং ‘মহাসচিব’ সম্মোধন ছাঁটা হয়েছে তা দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশেই হয়েছে। ফলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মত, সরকারিভাবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্ত্রিত্ব এবং দলীয় পদ সরিয়ে নেওয়া এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র। ইতিমধ্যেই দলের মধ্যে পার্থর ডানা ছাঁটতে শুরু করেছেন দলের কান্ডারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অন্যদিকে বুধবার পার্থ ইস্যুতে ফের মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি সংবাদমাধ্যমের উপর একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, ‘যদি কেউ ভুল করে তার বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়া হবে। কিন্তু বিচারক কিছু বলার আগেই মিডিয়া তাকে চোর বানিয়ে দিচ্ছে।’