কলকাতা: ৬ দিন আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি তাঁকে গ্রেফতার করেছিল। সেই গ্রেফতারির পর বৃহস্পতিবার মন্ত্রিত্ব থেকে অপসারিত করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আবার দল থেকে সাসপেন্ড হয়েছেন তিনি। দলের পাঁচটি পদে ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সেই সব পদ থেকে তাঁকে অপসারিত করা হয়েছে। সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সদস্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাহলে এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এখনকার ‘পরিচয়’ কী?
আরও পড়ুন- রসিকা হত্যা মামলায় নড়া মোড়, শ্বশুরবাড়ির আবেদন খারিজ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে
পার্থ তিনটি দফতরের মন্ত্রী ছিলেন। সবই চলে গিয়েছে তাঁর। আপাতত সেই সব দফতরের দায়িত্ব নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে, দলের সব পদও আজ চলে গিয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর। অতএব দলীয় কোনও স্থানে আপাতত তিনি নেই। তাহলে এখন কী হিসেবে থেকে গেলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়? যুক্তি অনুযায়ী, না দল বা মন্ত্রিসভায় তিনি, কিন্তু ভোটে জয়ী বিধায়ক পার্থ। তাই এখন তাঁর একমাত্র পরিচয়, তৃণমূল কংগ্রেসের ‘সাসপেন্ডেড বিধায়ক’। এখন দলের মহাসচিব পদে কে বসেন সেটাই দেখার। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঘরে-বাইরে চাপের কারণে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে গ্রেফতারির ৬ দিন পর তাঁকে নিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার এবং তৃণমূল বলে বিরোধীদের বক্তব্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, দল খুবই কঠোর, তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে অভিষেক জানান, তিনি যদি কিছু না করে থাকেন তাহলে বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে সেটা প্রমাণ করে আবার সসম্মানে তাঁকে দলে ফিরতে হবে। কিন্তু যতদিন না পর্যন্ত সেটা হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত দল থেকে অপসারিত তিনি। একই সঙ্গে, দুর্নীতি নিয়েও আগের মতোই কড়া বার্তা দেন তৃণমূল নেতা। বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি হয়েছিল মানুষের জন্য। কেউ যদি নিজের জন্য কিছু করব বলে করে, তাহলে দল তাঁকে সমর্থন কোনও ভাবেই করবে না।