কলকাতা: গত ২৮ জুলাই আকস্মিকভাবেই মৃত্যু হয় কলকাতা হাইকোর্টের তরুণ আইনজীবী কৌশিক দের। ২৯ জুলাই হরিদেবপুর কালিতলা হাউসিং থেকে কলকাতা হাইকোর্টের ১৮ নম্বর বারের সদস্য ওই তরুণ আইনজীবীর পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার করেন স্থানীয় থানার পুলিশ আধিকারিকরা। কলকাতা হাইকোর্ট চত্বরে সব সময় হাসিমুখে থাকা মিশুকে প্রকৃতির এই তরুণ আইনজীবীর মৃত্যুতে কার্যত শোকোস্তব্ধ তাঁর সহকর্মীরা। আরও অবাক হয়েছেন যখন দেখেছেন মৃত্যুর প্রায় চার দিন পরেও কৌশিকের পরিবারের কোন সদস্যরাই তাঁর মৃতদেহ দাবি করতে আসেননি। ফলে ময়নাতদন্তের পর গত ২৯ জুলাই থেকে কৌশিক দের মৃতদেহ মর্গেই পড়ে রয়েছে বেনামি লাশ হিসাবে। অন্যদিকে রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মৃত ওই আইনজীবির আত্মীয় বলতে কেউ নেই। তাই কেউ তাঁর দেহের দাবিও করেননি। এমতাবস্থায় মৃত কৌশিক দের সৎকারের দায়িত্ব নিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরাই।
জানা যাচ্ছে, তরুণ আইনজীবী কৌশিক দের দেহ সৎকার করবে হাইকোর্টের বার এসোসিয়েশন। সোমবার সকালে এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন, প্রকাশ শ্রীবাস্ত ও বিচারপতি রাজর্ষি ভারদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন সকালে রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানালেন, মৃত ওই আইনজীবীর কোনও আত্মীয় নেই। তাই কেউ তাঁর দেহের দাবি করেননি। তার পরিপ্রেক্ষিতেই আদালত এদিন নির্দেশ দিয়েছে, মৃত কৌশিক দের দেহ হাইকোর্ট বার এ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি কল্লোল মণ্ডল ও সম্পাদক বিস্বব্রত বসু মল্লিকের হাতে দেহ তুলে দিতে হবে। ডেড সার্টিফিকেট জমা থাকবে বার এ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদকের কাছে।
গত ২৪ জুলাই হরিদেবপুর কালিতলা হাউসিং থেকে কলকাতা হাইকোর্টের ওই আইনজীবী কৌশিক দের পচাগলা দেহ হাউসিংয়ের দরজা ভেঙে উদ্ধার করে পুলিশ। দেহটি ময়নাতদন্তের পর এতদিন মর্গে পড়ে থাকার পর কলকাতা হাই কোর্টের বার এসোসিয়েশনের সভাপতি বিষয়টি প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তার পরিপ্রেক্ষিতেই আজ সোমবার এমন নজিরবিহীন রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট।