প্রেসিডেন্সি জেলে ঠাঁই পার্থের, কী ভাবে কাটল প্রথম রাত? কী করলেন অর্পিতা

প্রেসিডেন্সি জেলে ঠাঁই পার্থের, কী ভাবে কাটল প্রথম রাত? কী করলেন অর্পিতা

6a9b0aa011431cea7049b224d84c9ac4

কলকাতা:  ব্যাঙ্কশাল আদালতের নির্দেশে আপাতত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঠিকানা প্রেসিডেন্সি জেলের ‘পয়লা বাইশ’ সেল ওয়ার্ডের দু’নম্বর সেল৷ শনিবার তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়৷ 

আরও পড়ুন- ইস্যু পঞ্চায়েত ভোট, সব জেলা শাসককে চিঠি কমিশনের

রাতে ব্যা ঙ্কশাল কোর্ট থেকে পার্থকে প্রথমে প্রেসিডেন্সি জেলের অফিসে নিয়ে আসা হয়। সেখানে বন্দি হিসাবে তাঁর নাম এন্ট্রি করার পরই  চিকিৎসকরা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। এরপর তাঁকে ‘পয়লা বাইশ’ ওয়ার্ডের দু’নম্বর সেলে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতে রুটি, ডাল, সবজি খেয়েছেন পার্থ৷ সময় মতো ওষুধও খেয়েছেন তিনি৷ জেলের নিয়ম মেনে চারটি কম্বল দেওয়া হয় তাঁকে৷ রাতে কম্বল বিছিয়ে মেঝেতেই শুয়েছেন তিনি৷ সেগুলিই বালিশ হিসাবে মাথাতেও দিয়েছেন৷ ওই সেলে কোনও চেয়ার বা খাট নেই৷ মেঝেতে শুয়ে স্বাভাবিক ভাবেই বিশ্রাম নিয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী৷ তবে কারও সঙ্গে বেশি কথা বলেননি৷ জেলে বিশেষ কোনও সুবিধাই দেওয়া হয়নি পার্থকে৷ তবে এই সেলের সঙ্গে রয়েছে কমোড৷ সকালে চা বিস্কুট খেতে দেওয়া হয় তাঁকে৷ 

যে ব্লকে তাঁকে রাখা রয়েছে, সেখানে রয়েছেন প্রায় ১৫০ জন হাইপ্রোফাইল বন্দি৷ তার মধ্যে রয়েছে মার্কিন দূতাবাসে হামলা চালানো কুখ্যাাত জঙ্গি আফতাব আনসারি, জামালউদ্দিন নাসের-সহ বেশ কয়েকজন মাওবাদী নেতা। প্রেসিডেন্সি জেলে অতিরিক্ত নজরদারিতে রাখা হয়েছে তাঁকে৷ গতকাল রাতে জেলে পার্থকে নিয়ে যাওয়ার পর সেখানে হাজির হন ইডি’র এক আধিকারিক। পার্থ ইডি হেফাজতে থাকার সময় যে ওষুধপত্র খেতেন এবং জামাকাপড়-সহ যেসব জিনিস ব্যিবহার করছিলেন তা জেল কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেন। 

অন্যদিকে আলিপুর জেলের ২ নম্বর ঘরে রাখা হয়েছে পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে৷ আদালতের নির্দেশে বাড়তি নজরদারিতে রয়েছেন অর্পিতাও৷ তদারকি করছেন জেলের সুপার৷ ভালো আচরণ করার জন্য বন্দিদের জন্য যে চারটি ঘর রয়েছে, তারই একটি ঘর অর্পিতার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে৷ এদিন জেলে আসার পরেই অর্পিতা কান্নাকাটি করেন বলে সূত্রের খবর৷ রাতে খাবার দেওয়া হলেও কিছু মুখে তোলেননি৷ সকালে দেওয়া হয় চা-বিস্কুট৷ 

জেল হাসপাতালে আসার পরই তাঁর শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়৷ সেখানে তাঁকে ওষুধ-পত্র বুঝিয়ে দেওয়া হয়৷ তার পরই নিয়ে যাওয়া হয় ২ নম্বর ঘরে৷ রাতে কান্নাকাটিও করেন তিনি৷ সে ভাবে কারও সঙ্গে কথা বলেননি না৷