কলকাতা: বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে টানটান উত্তেজনা। সৌজন্যে বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এদিন সকাল দশটা নাগাদ হঠাৎই অনুব্রতর বাড়িতে কার্যত বিনা নোটিশে হাজির হন সিবিআই আধিকারিকরা এবং তার কিছুক্ষণ পরেই তাঁকে আটক করা হয় বলে খবর। যদিও প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে সিবিআই আধিকারিকদের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল, কিন্তু তাঁর আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা বলছেন সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা। তাঁর কথায়, অনুব্রত মণ্ডলকে এখনো গ্রেফতার করা হয়নি। তাঁকে দেওয়া নোটিশ কার্যকর করতেই অনুব্রত মণ্ডলকে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। এখনো পর্যন্ত খাতায়-কলমে আনুষ্ঠানিকভাবে কোথাও গ্রেফতারের কথা দেখানো হয়নি সিবিআইয়ের তরফ থেকে।
জানা যাচ্ছে অনুব্রতের গ্রেফতারী প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অনুব্রতের আইনজীবী জানিয়েছেন, ‘অনুব্রত মণ্ডলকে সিআরপিসির ৪১ নম্বর ধারা অনুসারে অভিযুক্ত হিসাবে আজ নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আর সেই নোটিস কার্যকর করতেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সিআরপিসি ৪১-এর নোটিশ পালন করতে একজনকে নূন্যতম সময় দিতে হয়। এক্ষেত্রে সেই নিয়ম পালন করা হয়নি। তবে এখনও পর্যন্ত অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতারও করা হয়নি।’ তিনি আরও বলেন, ‘গ্রেফতার করার একটা নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া রয়েছে। সেজন্য আগে অ্যারেস্ট মেমো তৈরি করতে হয়। এছাড়া যাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে তাঁর নিকটাত্মীয় কাউকে গ্রেফতারের কথাটি জানাতেও হয়। আইনজীবীকেউ পুরো বিষয়টি আগে থেকে জানাতে হয়। কিন্তু অনুব্রতর ক্ষেত্রে এখনো পর্যন্ত সিবিআইয়ের তরফ থেকে এই সমস্ত কিছুই করা হয়নি।’ যদিও সিবিআই সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকাল ১১:১০ মিনিটে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য বৃহস্পতিবার সকাল দশটা নাগাদ অনুব্রতর বাড়িতে হাজির হন সিবিআই আধিকারিকরা। সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিশাল দল। ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রের খবর, প্রায় দেড় ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর অনুব্রতর গোটা বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। এরপরেই বেলা ১১:১০ নাগাদ তাঁকে গাড়িতে চাপিয়ে দুর্গাপুরের দিকে রওনা দিয়েছে একটি কনভয়। জানা যাচ্ছে, আপাতত অনুব্রতকে দুর্গাপুর ক্যাম্প অফিসে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানেই তাঁকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।