কোথাও বাজছে ঢাক, কোথাও বিলি নকুলদানা! অনুব্রতের আটকে গেরুয়া উল্লাস

কোথাও বাজছে ঢাক, কোথাও বিলি নকুলদানা! অনুব্রতের আটকে গেরুয়া উল্লাস

কলকাতা: বৃহস্পতিবার সকালে গরুপাচার কাণ্ডে নাটকীয়ভাবে সিবিআই আধিকারিকদের হাতে আটক হয়েছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। যদিও তাঁকে সিবিআই আধিকারিকরা গ্রেফতার করেছেন কিনা তা নিয়ে এখনো যথেষ্ট ধোঁয়াশা রয়েছে। কিন্তু তার মধ্যেই কেষ্টর আটকে কলকাতাসহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়েছে গেরুয়া উল্লাস। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকাল দশটা নাগাদ বোলপুরের নিচুপট্টির অনুব্রতের বাড়িতে যান প্রায় ৩০ জন সিবিআই আধিকারিক। সঙ্গে ছিলেন কমপক্ষে ১০০ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। তাঁরা প্রথমে গোটা বাড়ি ঘিরে ফেলে এবং তারপরে শুরু হয় তল্লাশি। এরপর বেলা ১১:১০ নাগাদ অনুব্রত মণ্ডলকে আটক করে গাড়িতে তোলেন সিবিআই আধিকারিকরা। আপাতত তাঁকে আসানসোলের ক্যাম্প অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য, সিবিআই সূত্রে খবর এমনটাই।

 এদিকে অনুব্রত আটক হয়েছেন এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই আনন্দ-উল্লাসে মেতে ওঠে গেরুয়া শিবির। অনুব্রতর গাড়ি বোলপুর ছেড়ে আসানসোলের দিকে রওনা হতেই ঢাক নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েন একাধিক বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। অনুব্রতর গাড়ি লক্ষ্য করে জয়ধ্বনিও দেন অনেকে। এরপরেই ঢাক ঢোলের সঙ্গে গুড় বাতাসা, নকুলদানা নিয়ে রাস্তায় নামতে দেখা যায় কলকাতাসহ বিভিন্ন জেলার বিজেপি নেতাকর্মীদের। পথচলতি লোকজনদের দাঁড় করিয়ে বিলি করা হয় সেইসব খাবার।

বিজেপি নেতা কল্যাণ চৌবের নেতৃত্বে কলকাতাতেও একটি বিজয় মিছিল বের করে বিজেপি। বউবাজারের ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া মোড়ে বিজেপি নেতা সজল ঘোষের নেতৃত্বে বিলি হয় গুড় বাতাসা। সেই সময় রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা বাসের যাত্রীদের পর্যন্ত নকুলদানা দেন বিজেপির নেতাকর্মীরা। অগ্নিমিত্রা পাল থেকে শুরু করে একাধিক রাজ্যের শীর্ষস্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বকে এদিন রাস্তায় নামতে দেখা গিয়েছে। আসানসোলে বিজেপির তরফে পথ চলতি মানুষদের নকুলদানা গুড় এবং বাতাসা বিতরণ করেন আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। এছাড়াও হাওড়া, হুগলি, চুঁচুড়ার মতো একাধিক জায়গায় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের এইভাবেই উল্লাস প্রদর্শন করতে দেখা গিয়েছে।

উল্লেখ্য চড়াম চড়াম ঢাকের তাল কিংবা গুড়-বাতাসা এই শব্দগুলোর সাথে রাজ্যবাসীর পরিচিতি হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলের হাত ধরেই। বিরোধীদের কড়া জবাব দিতে এই শব্দগুলিই কেষ্টদার মুখে শোনা গিয়েছে বহুবার। তাই তাঁর আটকে তাঁরই ‘দাওয়াই’ দিয়ে উল্লাসে মাতলেন বিরোধীরা।
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *