কলকাতা: মোবাইলে নগ্ন চ্যাট৷ আপত্তিকর অবস্থায় সেই ভিডিয়ো ফাঁস হতেই বিপাকে বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের কূটনীতিক মহম্মদ সানিউল কাদের৷ মোবাইলে অশালীন অবস্থায় ভারতীয় মহিলার সঙ্গে চ্যাটিংয়ের অভিযোগ উঠতেই তাঁকে তড়িঘড়ি দেশে ফেরাল বাংলাদেশ৷
আরও পড়ুন- ‘দুর্নীতি হল উইপোকার মতো, দেশকে ফাঁপা করে দেয়’, ‘মন কি বাতে’ বললেন মোদী
মহম্মদ সানিউল কাদের কলকাতায় অবস্থিত ডেপুটি হাইকমিশনে প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) পদে কর্মরত ছিলেন। এক ভারতীয় মহিলার সঙ্গে তাঁর নগ্ন চ্যাট ফাঁস হতেই অস্বস্তিতে পড়ে বাংলাদেশ৷ তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করে সেদেশের বিদেশ মন্ত্রক৷ বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার তৌফিক হাসান সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, অশ্লীল ভিডিয়ো চ্যাটে যুক্ত থাকায় সানিউলকে দেশে (বাংলাদেশ) পাঠানেো হয়েছে। তৌফিক জানান, নেটমাধ্যমে এই ভিডিয়োটি ফাঁস হয়েছে। তবে এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আজবিকেল.কম৷
এই সংক্রান্ত দু’টি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে বলে দাবি করা হয়েছ। ওই ভিডিয়োতে তাঁদের দু’জনকেই নগ্ন অবস্থায় দেখা গিয়েছে৷ তাঁরা বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক কার্যকলাপেও লিপ্ত। ২৫ জানুয়ারি বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে৷ এই ভিডিয়ো ফাঁস হওয়ার পরেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ২৬ জানুয়ারি পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ফিরে যান সানিউল। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলেও খবর৷ সেই সময় সানিউলকে নিজের বক্তব্য পেশের সুযোগ দেওয়া হবে৷ তবে এই ধরনের ঘটনা এই প্রথম বলে দূতাবাস সূত্রে খবর৷ এর আগে কোনও বাংলাদেশি কূটনীতিকের এহেন কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ায়নি৷
দিল্লির দূতাবাস সূত্রে খবর, মহম্মদ সানিউল যে ধরনের কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছেন, তা ‘জিরো টলারেন্স’ বা ‘শূন্য সহনশীলতা’ নীতির মধ্যে পড়ে৷ যে নীতিতে বিশ্বাসী বাংলাদেশ। ফলে কোনওরকম শৃঙ্খলাভঙ্গই যে বরদাস্ত করা হবে না, তা পরিষ্কার। তাই ২৫ তারিখ ভিডিয়োটি ফাঁস হতেই ২৬ তারিখ সানিউলকে ঢাকায় তলব করা হয়।