কলকাতা: ‘নতুন তৃণমূল’। এই নিয়ে এখন চর্চা শুরু হয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। অনেক প্রশ্ন, অনেক কৌতূহল বেড়েছে এই ইস্যু নিয়ে। কী এই ‘নতুন তৃণমূল’, বিষয়টা কিছুতেই স্পষ্ট হচ্ছে না। কিছু সপ্তাহ আগেই এক জনসভা থেকে এই ধরণের উক্তি করেছিলেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন আগামী ৬ মাসের মধ্যে নতুন তৃণমূল আসবে। সেই মতোই এই পোস্টার বলে মত অনেকের। তবে বিরোধীরা আক্রমণ করতে ছাড়ছে না। ইতিমধ্যেই শাসক শিবিরকে একহাত নিয়ে বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেছেন, মানুষকে আবার বোকা বানানোর চেষ্টা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- দিনে ৩০ লক্ষ! অনুব্রতর আয় নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য CBI-এর
দিলীপের বক্তব্য, দুর্নীতি ছাড়া তৃণমূল চলতেও পারবে না, আর দুর্নীতি ছাড়া তৃণমূল ভাবাও যায় না। এই নতুন পোস্টার আর কিছুই নয়, মানুষকে বোকা বানানোর আবার নতুন ফান্ডা তৈরি করা হচ্ছে। ঘাসফুল শিবিরকে কটাক্ষ করে তিনি এও দাবি করেন, যাই করা হোক, বাংলার মানুষ আর তৃণমূলের দিকে ঘুরে তাকাবে বলে তিনি মনে করেন না। বিজেপি নেতার আরও খোঁচা, এইসব করে তৃণমূলকে বাঁচানোর চেষ্টা চলছে, কিন্তু তা আর সম্ভব নয়। তবে যে পোস্টার পড়েছে তাতে শুধু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিই দেখা যাচ্ছে।
এই নিয়ে প্রশ্ন, তাহলে কি তৃণমূল আড়াআড়ি ভাগ হয়ে গেল? বিষয়টি যে একদমই তেমন নয় তা অবশ্য স্পষ্ট করে দিয়েছে দলই। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের বক্তব্য, রবীন্দ্রনাথের উদ্ধৃতি ব্যবহার করলে কি নজরুলের ছবি দেওয়া যাবে? আসলে ভবানীপুর, কালীঘাট, হাজরা, রাসবিহারী মোড় জুড়ে ছয়লাপ অভিষেকের পোস্টারে৷ যেখানে লেখা রয়েছে, ‘আগামী ছ’মাসের মধ্যে সামনে আসবে নতুন তৃণমূল। ঠিক যেমন সাধারণ মানুষ চায়।’ অপর একটি পোস্টারে লেখা হয়েছে, ‘চলুন লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হন। এই লড়াই আমাদের ২৪ এর লড়াই।’