অসময়ে চলে গেলেন তরুণ সাংবাদিক স্বর্ণেন্দু দাস, শোকস্তব্ধ সংবাদমহল

অসময়ে চলে গেলেন তরুণ সাংবাদিক স্বর্ণেন্দু দাস, শোকস্তব্ধ সংবাদমহল

কলকাতা: মারণ রোগের সঙ্গে লড়াই ছিল দীর্ঘ দিনের। কিন্তু কাউকে বুঝতে দেননি। ক্যানসারের চোখরাঙানিকে ভয় না পেয়ে শুধু খবরের নেশায় বুঁদ থাকতেন সাংবাদিক স্বর্ণেন্দু দাস। কিন্তু সেই লড়াই থামল মঙ্গলবার। বড্ড অসময়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন তিনি। সাংবাদিক মহল হারাল তাঁদের এক রত্নকে। এদিন সকালে এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই বাকরুদ্ধ রাজ্যের সাংবাদিক জগত। স্বর্ণেন্দুর প্রয়াণে শোকবার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

আরও পড়ুন- এক মাস পর বিশ্ববিদ্যালয়ে পার্থ ‘ঘনিষ্ঠ’ মোনালিসা, বললেন অর্পিতাকে চিনি না, ওড়ালেন অভিযোগ

মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বার্তায় লিখেছেন, ”কলকাতার তরুণ সাংবাদিক স্বর্ণেন্দু দাসের মৃত্যু সংবাদ শুনে খুবই মর্মাহত। আজ এক তীক্ষ্ণ চিন্তাধারার অধিকারীকে হারাল সাংবাদিক জগৎ। আমি তাঁর পরিবার, প্রিয়জন ও সহকর্মীদের সমবেদনা জানাই।” অন্যদিকে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, ”মাত্র ৩৫ বছর বয়সে ক্যানসার কেড়ে নিল প্রতিভাবান এই সাংবাদিককে। ২০১৪ থেকে ক্যানসারে আক্রান্ত হলেও কাজের প্রতি নিষ্ঠা এতটুকু কমেনি। ওনার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করি ও পরিবারবর্গ, বন্ধুগণ ও সহকর্মীদের প্রতি সমবেদনা জানাই।”

আরও পড়ুন- দক্ষিণবঙ্গে ফের বৃষ্টির পূর্বাভাস, আগামী দু’ঘণ্টায় বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি শহরে

কৃষক পরিবারে জন্ম হয়েছিল সাংবাদিক স্বর্ণেন্দু দাসের। বহু প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠে কলকাতার সাংবাদিক মহলে সুনাম অর্জন করেছিলেন তিনি। অ্যাসাইনমেন্ট ডেস্ক থেকে বুলেটিন প্রোডাকশন কিংবা রিপোর্টিং, সবেতেই সমান পারদর্শী ছিলেন এই সাংবাদিক। খবর খুঁজে বের করার তাগিদ ছিল। ‘আর প্লাস’, ‘টিভি নাইন’-এর মতো হাউজে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত ‘টিভি নাইন’ চ্যানেলেই ছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন-নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে গোপন জবানবন্দি দেবেন পার্থ ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা? ইঙ্গিত ইডির

২০১৪ সালে বিরল ক্যানসার ধরা পড়ে স্বর্ণেন্দু দাসের। মাঝে কিছুটা সুস্থ হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু চলতি বছর আবার তা ফিরে আসে। কয়েক মাস আগে টানা কয়েকদিন ধরে মুম্বইয়ে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। পরে রাজ্য সরকারের তৎপরতায় কলকাতায় এনে তাঁর চিকিৎসা করানো শুরু হয়। প্রথমে এসএসএসকেএম ও পরে শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন স্বর্ণেন্দু। আজ সব লড়াই শেষ হল। ছেড়ে গেলেন বৃদ্ধ বাবা, মা, স্ত্রী এবং মেয়েকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 − eleven =