জেলে কেমন আছেন পার্থ? এর রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট

জেলে কেমন আছেন পার্থ? এর রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট

কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বর্তমান ঠিকানা প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের পহেলা বাইশ ওয়ার্ডের ২ নম্বর সেল৷ হাই প্রোফাইল ওই ওয়ার্ডে সাধারণ কয়েদিদের মতোই রয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী৷ তবে শরীর ভালো নেই তাঁর৷ দিন কয়েক আগে এসএসকেএম-এ স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল পার্থকে৷ মঙ্গলবার রক্ত পরীক্ষার জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় প্যাথেলজি বিভাগে৷  রক্তাল্পতায় ভুগছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রাও কম রয়েছে৷ হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ৮.৩৷ যেখানে ১১-১২ থাকা দরকার৷ এছাড়াও নানা সমস্যায় ভুগছেন তিনি৷

আরও পড়ুন- Breaking: জেল হেফাজতে অনুব্রত মণ্ডল, জামিনের আবেদন মান্যতা পেল না

পার্থের যে বেশ কিছু ক্রনিক সমস্যা রয়েছে, তা আগেই জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা৷ শনিবার যখন পার্থকে এসএসকেএম হাসপাতালে আনা হয় তখন সাংবাদিকরা তাঁর শরীর স্বাস্থ্য সম্পর্কে  প্রশ্ন করেছিলেন৷ জবাব তিনি বলেন, ‘ভালো নেই৷’’ এরই মধ্যে আগামীকাল ফের আদালতে তোলা হবে পার্থ ও অর্পিতাকে৷ তবে সশরীরে নয়, তাঁরা হাজিরা দেবেন ভার্চুয়ালি৷ 

এর আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক পরীক্ষার জন্য প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়েছিলেন আট চিকিৎসকের একটি প্রতিনিধি দল। তাঁরা প্রাক্তন মন্ত্রীর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি বেশ কিছু পরামর্শও দেন৷ যেমন তাঁকে শোয়ার ধরন বদল করার কথা বলা হয়৷ নিয়মিত ব্যায়াম করার পরামর্শও দেন চিকিৎসকরা। এদিকে, সংশোধনাগারে আসার পর থেকেই পা ফুলেছিল তাঁর৷ ভালো করে হাঁটাচলাও করতে পারছিলেন না তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব৷ হাঁটাচলা কমে যাওয়ার জন্যই প্রাক্তন মন্ত্রীর পায়ে ফোলা ভাব দেখা যেতে পারে বলে সে সময় জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা।

উল্লেখ্য, পার্থ চট্টোপাধ্যায় দীর্ঘদিন ধরেই মধুমেয় রোগে আক্রান্ত। ফলে তাঁর খাওয়াদাওয়া নিয়েও একাধিক বিধিনিষেধ রয়েছে৷ তাঁর ডায়েটের উপর বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। জেল হেফাজতে থাকা পার্থকে দেখতে যে চিকিৎসকের দল প্রেসিডেন্সি  জেলে গিয়েছিলেন, তাঁরা প্রাক্তন মন্ত্রীর ডায়েটে বেশ কিছু বদল আনার পরামর্শও দেন বলে সূত্রের খবর। এরই মধ্যে মঙ্গলবার রক্ত পরীক্ষা করা হয় তাঁর৷ রিপোর্টও চলে এসেছে৷ তাতে দেখা গিয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ  ৮.৩। তাঁর শারীরিক অবস্থার উপর ক্রমাগত নজর রাখা হচ্ছে বলেই সূত্রের খবর৷ সেই সঙ্গে চলছে ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব৷