কলকাতা: গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। আদালতের নির্দেশে তাঁর নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা হয়েছে কম্যান্ড হাসপাতালে। এখন তাঁর জেল হেফাজতে থাকার কথা। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে জেল কক্ষে না থেকে তিনি রয়েছেন সংশোধনাগার চত্বরের নয় শয্যার একটি হাসপাতাল কক্ষে। ইতিমধ্যেই করানো হয়েছে তাঁর একাধিক শারীরিক পরীক্ষা। সেই মেডিক্যাল রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে অনেক কিছুই।
আরও পড়ুন- গরু পাচার কাণ্ডের টাকা কোথায়? জানতে অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যেতে চায় ED
অনুব্রত মণ্ডলের মেডিক্যাল রিপোর্ট বলছে, তৃণমূল নেতার ওজন প্রায় ১১০ কিলো। রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা আপাতত আছে ৯৮ শতাংশ। স্থূলতার সমস্যা থাকলেও, আপাতত জরুরি ভিত্তিতে কোনও অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন নেই। এদিকে শ্বাসকষ্টের সমস্যা, অর্শ, রক্তচাপের সমস্যা রয়েছেই অনুব্রত মণ্ডলের। যদিও তাতে ভয়ের কিছু নেই বলেই স্পষ্ট করা হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে। কিন্তু ওজন তুলনায় বেশি হওয়ায় সেই নিয়ে কিঞ্চিৎ চিন্তা রয়েছে। উল্লেখ্য, ওজন নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছেন অন্য এক জেল বন্দি, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। তাঁরও ওজন প্রায় ১১২ কিলো জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর ১৪ দিন সিবিআই হেফাজতে ছিলেন কেষ্ট৷ বুধবার তাঁকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় সিবিআই-এর বিশেষ আদালত৷ ওই দিন বিকেলেই তাঁকে নিয়ে আসা হয় আসানসোল জেলে। আগেই জানা গিয়েছিল, প্রতিদিন ৩৭টি ওষুধ খেতে হয় তাঁকে৷ রাতে ঘুমানোর আগে বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে নেবুলাইজার এবং অক্সিজেন মাস্ক দিতেই হয়৷ যে কোনও সময় তাঁর ইনহেলার ও অক্সিজেন মাস্কের প্রয়োজন পড়ে।