‘‌কথা মানে কথাই’‌, সংবাদমাধ্যমে আর মুখ খুলবেন না মদন, কেন মিডিয়া বয়কট ‘রঙিন’ নেতার?

‘‌কথা মানে কথাই’‌, সংবাদমাধ্যমে আর মুখ খুলবেন না মদন, কেন মিডিয়া বয়কট ‘রঙিন’ নেতার?

02854e76f252755429ff514c086527f0

কলকাতা:  কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র বরাবরই কড়া-মিঠে স্বভাবের৷ কখনও তিনি আবেগতাড়িত, কখনও কড়া কথায় গরম করেছেন রাজনীতির হাওয়া৷ সোশ্যাল মিডিয়াতেও তিনি বেশ তৎপর৷ তবে সেই মদনই এবার নিলেন ধনুক ভাঙা পণ৷ সংবাদমাধ্যমকে বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিলেন তৃণমূলের ‘কালারফুল’ নেতা৷ জানালেন, এবার থেকে যা মন্তব্য করার সোশ্যাল মিডিয়াতেই করবেন তিনি৷ কিন্তু কেন এমন করলেন মদন? তবে কি দলের নির্দেশেই এই পদক্ষেপ? উঠছে প্রশ্ন৷

আরও পড়ুন- জাতীয় শিক্ষানীতির প্রতিবাদে পথে SFI, কোচবিহার থেকে রানাঘাটে এল সর্বভারতীয় জাঠা

এ প্রসঙ্গে ঠিক কী বললেন কামারহাটির বিধায়ক? রবিবার রাতে এক অনুষ্ঠানে এসে তিনি বলেন, ‘আমি দলের নামে শপথ করছি, নির্দিষ্ট কর্মসূচি ছাড়া অন্য কোনও বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলব না৷ সাংবাদিকরা যদি জানতে চান কেমন আছেন, তার উত্তর দেব৷ এর বাইরে আলাদা করে কোনও বাইট দেব না। দেব না মানে দেব না। কথা মানে কথাই। যা বলার তা ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক এবং ইউটিউবেই বলব।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘সাংবাদিক বন্ধুদের বলব আমাকে ভুল বুঝবেন না। আপনাদের সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব অটুট থাকবে। শুধু আমার সামনে বুম ধরে বলবেন না কিছু বলুন৷’’ 

 
কিন্তু, এমন সিদ্ধান্তের পিছনে কারণটা কী? মদন জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশীর্বাদে তিনি অনেক প্রচার পেয়েছেন। কিছু না করলেও বাংলার মানুষ আগামী পাঁচ বছর তাঁকে মনে রাখবেন। তাই তাঁর প্রচারের কোনও প্রয়োজন নেই। এবার শুধু দলের নির্দেশ মেনেই চলতে চান তিনি। 

সূত্রের খবর, সম্প্রতি মদন মিত্রর কাছে পার্থ–অনুব্রতকে নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। সেই প্রশ্নের উত্তরও দেন তিনি। কিন্তু, সেটা দলের পছন্দ হয়নি। সেই বিষয়টা জানতে পেরেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক৷ মদনের সাফ কথা, ‘প্রথমেই বলি পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হবে, কী হবে না, তা বিচারব্যবস্থাই বলবে। আমি এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না। তবে এটুকুই বলব, ওঁদের সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক৷ ওঁদের আঘাত করার মানসিকতা ছিল না। কিন্তু আমার একটি বিবৃতিকে কেন্দ্রে করে এমনভাবে কিছু কথা প্রকাশ করা হচ্ছে যাতে মনে যাচ্ছে ব্যক্তিগতভাবে আমি পার্থ বা অনুব্রতকে বিড়ম্বনায় ফেলে আঘাত করার চেষ্টা করেছি। তবে এর আগেও মদনকে বেফাঁস বন্তব্য করা থেকে হুঁশিয়ার করা হয়েছিল৷ দলের বিধিনিষেধ মেনেই এবার এই সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি৷