বোলপুর: এতদিন তাঁর জন্য বরাদ্দ ছিল ‘জেড ক্যাটাগরি’র নিরাপত্তা৷ কিন্তু, তিনি আপাতত জেলে৷ গরু পাচার মামলায় সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল৷ ফলে তাঁর নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়েছে বলেই খবর৷ কিন্তু, দেখা গেল এখনও তাঁর বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়ি পাহারা দিচ্ছে রাজ্য পুলিশের কর্মীরা৷ যা নিয়ে ফের শুরু হয়েছে বিতর্ক৷
আরও পড়ুন- বোলপুরে হানা দিয়ে কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলরকে গ্রেফতার করল CBI
২০১৩ সালে রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের পরামর্শে যে ক’জন তৃণমূল নেতাকে নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল, সেই তালিকায় ছিল অনুব্রতের নামও। গরু পাচার মামলায় জেলে যাওয়ার আগে পর্যন্ত রাজ্য পুলিশের ‘জেড ক্যাটেগরি’ নিরাপত্তাই পেতেন তিনি। ছ’জন সশস্ত্র দেহরক্ষীর ঘেরাটোপে থাকেন তৃণমূলের এই দাপুটে নেতা৷ এই ছয় রক্ষীর মধ্যেই অন্যতম ছিলেন সায়গল হোসেন৷ অনুব্রতর আগেই গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হন তিনি৷ তাঁকেও রাখা হয়েছে আসানসোল জেলে৷ সেখানে অনুব্রতের কাছাকাছিই রয়েছেন সায়হল। এদিকে, অনুব্রতহীন বাড়িতে মোতায়েন রয়েছে রাজ্য পুলিশের চার কর্মী৷ ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে অনুব্রত ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বাড়ানো হয়৷ নিযুক্ত করা হয় চার সশস্ত্র মহিলা রক্ষীকে। এমনকি বিভিন্ন মিটিং-মিছিল কিংবা জনসভাতেও বম্ব স্কোয়াডের একটি টিম মোতায়েন থাকে কেষ্টর জন্য।
গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হতেই অনুব্রতর ‘জেড ক্যাটেগরি’র নিরাপত্তা এবং চার মহিলা নিরাপত্তা রক্ষীকে সরিয়ে নেওয়া হয়। তবে তাঁর বাড়ির নিরাপত্তার জন্য এখনও মোতায়েন রয়েছেন রাজ্য পুলিশের এক জন এএসআই পদমর্যাদার অফিসার এবং তিন জন কনস্টেবল। আর তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। সিপিএমের জেলা সম্পাদক গৌতম ঘোষ বলেন, “যিনি গরু পাচারের মতো গুরুতর মামলায় অভিযুক্ত, তাঁর বাড়িতে সরকারি পুলিশকর্মীদের থাকার বিষয়টি মানুষ অন্য চোখে দেখছেন।’’ অন্যদিকে, বিজেপির বোলপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অষ্টম মণ্ডলের বক্তব্য, ‘‘প্রশাসন সরকারের দলদাসে পরিণত হয়েছে৷ সে কারণেই এক জন অপরাধীর বাড়িতে রাজ্য পুলিশের কর্মী গিয়ে পাহারা দিচ্ছে।’’
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>