কোলাঘাট: চাকরি দেওয়ার নামে এক সময় লাখ লাখ টাকা তুলেছিলেন কোলাঘাটের তৃণমূল নেতা অতনু গুছাইত৷ তিনি আপাতত পলাতক৷ উদ্যোগী হয়ে তাঁর হয়ে প্রতারিতদের টাকা ফেরত দিচ্ছেন কোলাঘাট-১ পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান মুজিবুর তরফদার। সম্প্রতি এক প্রতারিতকে ৮ লক্ষ টাকার চেক দেন তিনি৷ কিন্তু সেই চেক বাউন্স হতেই মুজিবুরের বিরুদ্ধে এসডিপিও-র কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন প্রসেনজিৎ কুইলা নামে ওই প্রতারিত যুবক। কিন্তু প্রশ্ন হল কেন অতনুর হতে টাকা ফেরাতে উদ্যোগী হলেন মুজিবুর? তাঁদের মধ্যে সম্পর্কটা ঠিক কী?
আরও পড়ুন- স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে টাকা অমিল, পুজো কমিটিকে ৬০ হাজার? হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা চিকিৎসকের
এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তৃণমূলের কোলাঘাট ব্লক সভাপতি অসিত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। যদি কেউ দুর্নীতি করে থাকে, দল তার পাশে থাকবে না।’’ তবে জানা গিয়েছে, একদা পার্থ ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত ছিলেন এই অতনু৷ কোলাঘাট পঞ্চায়েত সমিতির বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষও ছিলেন তিনি৷ অন্যদিকে, ২০১৮ সালে ভোটে জিতে উপপ্রধান নির্বাচিত হন কোলাঘাটের বড়িশা গ্রামের বছর সাতাশের মুজিবর৷ শুভেন্দু তৃণমূলে থাকার সময় তিনি ছিলেন অধিকারীর শিবিরের নেতা৷ উপপ্রধান হওয়ার পরে অতনুর সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। স্থানীয়দের দাবি, ক্রমেই অতনুর আস্থাভজন হয়ে ওঠেন মুজিবর। তিনিই নাকি অতনুর হয়ে চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে টাকা পয়সার রফা করতেন। শুধু তাই নয়, জাতীয় সড়কের উপর থাকা জমি কম দাম কিনে চড়া দরে বিক্রির অভিযোগও রয়েছে মুজিবরের বিরুদ্ধে।
দাসপুরের এক হোটেল ব্যবসায়ী প্রসেনজিৎ কুইলার জানান, এক আত্মীয়দের চাকরির জন্য অতনুকে ৬৫ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই চাকরি হয়নি। টাকাও ফেরত দেননি৷ এর পরেই তমলুক আদালতে মামলা করেন প্রসেনজিৎ। সম্প্রতি মুজিবর তাঁর সঙ্গে কথা বলতে আসেন৷ মুজিবর জানান, অতনুর থেকে টাকা নিয়ে তিনি ফিরিয়ে দেবেন। তবে শর্ত, মামলা তুলে নিতে হবে। সেই শর্তে রাজি হওয়ায় গত ২২ অগাস্ট তাঁকে ৮ লক্ষ টাকার চেক দেন মুজিবর৷ কিন্তু সেই চেক বাউন্স করে৷ এর পরেই তমলুকের এসডিপিও-র কাছে অভিযোগ জানান প্রসেনজিৎ৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>