দু’দিনে সাড়ে ৩ হাজার রুশ সেনার মৃত্যু! দাবি ইউক্রেনের

দু’দিনে সাড়ে ৩ হাজার রুশ সেনার মৃত্যু! দাবি ইউক্রেনের

1e9e3d68bf541552aa4c106624e07665

কিয়েভ: বৃহস্পতিবার থেকে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে তাতে ইতিমধ্যেই কয়েকশো সেনার মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। প্রথম থেকেই ইউক্রেন সেনা খতম করার দাবি করে আসছিল রাশিয়া তবে এবার পাল্টা দাবি করল ইউক্রেন। তাদের তরফ থেকে জানান হল, দুদিনের সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩ হাজার ৫০০ রুশ সেনার মৃত্যু হয়েছে এবং প্রায় ২০০ জনকে বন্দি করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ১৪টি রুশ বিমান, অন্তত ৮০ টি ট্যাঙ্ক, ২০ টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র সহ প্রায় ১০০ টি ট্যাঙ্কার ধ্বংস করা হয়েছে বলেও দাবি করেছে ইউক্রেন। এদিকে আবার রাশিয়া নয়া দাবি করে বলেছে, ইউক্রেনের ২১১ টি সৈন্য ঘাঁটি পুরোপুরি গুঁড়িয়ে দিয়েছে তারা।

আরও পড়ুন- সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকছে রুশ ট্যাঙ্কবাহিনী! রাশিয়ার কাছে ইউক্রেন সেনার আত্মসমর্পন?

ইউক্রেন আজ সকাল জানিয়েছে যে, রাশিয়া কৃষ্ণসাগর থেকে ইউক্রেন লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে নতুন করে। ইতিমধ্যেই একাধিকবার এয়ারস্ট্রাইক করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে যে, এদিন সকাল থেকেও জায়গায় জায়গায় বোমা পড়েছে। পাশাপাশি ভাসিলকিভের নাকার সামনে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর ওপর ছদ্মবেশে গুলি চালিয়েছে রাশিয়ান সেনা। এই পরিস্থিতিতে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনীয় সেনাকে পিছু হটার বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ইউক্রেনীয় সেনা যদি নিজের হাতে ক্ষমতা তুলে নেয়, তবে দুই দেশের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে কোনও চুক্তি বা সম্মতিতে পৌঁছনো সহজ হবে।

যদিও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি এই ইস্যুতে স্পষ্ট বার্তা দিয়ে বলেছেন, লড়াইয়ের ময়দান থেকে কিছুতেই সরে যাবেন না তারা। দেশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য লড়াই তারা শেষ পর্যন্ত চালিয়ে যাবেন।  দেশ এবং স্বাধীনতাকে রক্ষা করছে ইউক্রেনের সবাই। শেষ পর্যন্ত এই ভাবেই দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই চালিয়ে যাবেন তারা। সামরিক বাহিনী থেকে শুরু করে সমাজের আম নাগরিক সবাই এই লড়াইয়ে সামিল। প্রেসিডেন্ট ভবনের বাইরে দাঁড়িয়ে জেলেনস্কির ওই ভিডিয়ো এই মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, বিশ্ব মঞ্চে অন্যান্য দেশ যেহেতু এখনও পর্যন্ত সরাসরি ইউক্রেনকে সমর্থন করেনি তাই দেশের নাগরিকদের মনোবল বাড়াতে এই ভিডিও বার্তা দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *