কলকাতা: দুর্গাপূজোর অনুদান সংক্রান্ত মামলার শুনানি শেষ হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। তবে আপাতত রায়দান স্থগিত রেখেছে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। মামলাকারির পক্ষের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য এদিন আদালতে জানান, নির্দিষ্ট একটি সম্প্রদায়ের জন্য সরকার আর্থিক সাহায্য করতে পারে না। এটা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং সংবিধান বিরোধী। যদিও এজির কথায়, ইউনেস্কো স্বীকৃতি দিয়েছে গোটা রাজ্যের পুজোর জন্য, শুধুমাত্র কলকাতার পুজোর জন্য নয়। ফলে মামলাকারিদের শুধু কলকাতার উল্লেখ সঠিক নয়। রাজ্যের পুজোর স্বীকৃতি কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকও দিয়েছে।
আরও পড়ুন- মামলার আবহেই পুজোর অনুদান সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি রাজ্যের
নিজের বক্তব্যে অনড় ছিলেন মামলাকারির পক্ষের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁর স্পষ্ট কথা, রাজ্যের মানুষের করের টাকা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এভাবে একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের মধ্যে বিলি করতে পারেন না। ২০২০ সালে করোনা অতিমারীর জন্য দুর্গাপূজোর সময় তাঁরা ৫০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করেছিলেন পুজো কমিটি গুলিকে। তবে সেটা করোনা অতিমারীর জন্য সচেতনতা এবং মাস্ক, স্যানিটাইজার বিনা পয়সায় বিলি করা হবে বলে। তিনি আরও বলেন, রাজ্যের মানুষের করের টাকায় ইমামদের দান খয়রাতি জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলেও আদালতের হস্তক্ষেপের কারণে সেটা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সেখানেও একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষকে আর্থিক সুবিধা দিতে চেয়েছিলেন রাজ্য সরকার।
এদিকে, জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্র নাথ মুখোপাধ্যায় জানান, পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে সাধারণ মানুষের সংযোগ বৃদ্ধির কাজ (কমিউনিটি পুলিশিং এক্টিভিটি প্রসার) সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য প্রচার ও প্রসার, ট্যুরিজমের প্রসারের এই পুরো বিষয়টিই জনস্বার্থে। ব্যয়ের শংসাপত্র ও বিলও থাকবে কোথায় কী ব্যয় হয়েছে তা নিশ্চিত করতে। তাই রাজ্য সরকার মনে করছেন এই মামলার কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই।