বাগুইআটির মৃত দুই কিশোর মাদকাসাক্ত ছিল! বিস্ফোরক সৌগত, পাল্টা দিলেন দিলীপ

বাগুইআটির মৃত দুই কিশোর মাদকাসাক্ত ছিল! বিস্ফোরক সৌগত, পাল্টা দিলেন দিলীপ

কলকাতা: বাগুইআটিতে জোড়া খুনের ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য৷ মাধ্যমিকের দুই পড়ুয়া অতনু দে এবং অভিষেক নস্করকে অপহরণ করে খুন করে তাঁদেরই এক পরিচিত৷ ওই দুই কিশোর নাকি মাদকাসক্ত ছিল। পুলিশ সূত্রেই তেমনটাই জানতে পেরেছেন তিনি। এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তাঁর দাবি, সর্বত্র মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটছে। সেই কারণেই এমন দুঃখজনক ঘটনা দেখতে হচ্ছে৷ এই মন্তব্যের পর প্রবীণ তৃণমূল সাংসদকে একহাত নিলেন দিলীপ ঘোষ৷

আরও পড়ুন- গাছ লাগানোর হিড়িক! সুন্দরবনে ম্যানগ্রোভ অরণ্য সংরক্ষণের বাস্তবতা কতখানি

এদিন  প্রথমসারির এক বাংলা সংবাদমাধ্যমকে সৌগত রায় বলেন, ‘‘বেঘোরে মারা গেল দুটি কিশোর। এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা৷ এই ছেলে দুটো সম্পর্কে পুলিশের কাছ থেকে রিপোর্ট পেলাম। ওরা ড্রাগ-টাগ খেত৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি তো ব্যক্তিগত ভাবে এদের চিনি না। যেটা শুনলাম (পুলিশের কাছ থেকে) সেটাই বলছি।’’

বর্ষীয়ান এই সাংসদের কথায়, সমাজে মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটেছে৷ সে কারণেই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। তাঁর অভিযোগ, ‘‘কাগজ খুললেই বিজ্ঞাপনের ঢল— খালি এটা পরুন, এটা কিনুন।’’ ব্র্যান্ডেড জামাকাপড় পরার জন্য সবাইকে প্রলুব্ধ করতে  এক শ্রেণির সংবাদমাধ্যমও দায়ী বলে মত তাঁর৷ সাংসদের কথায়, এই লোভ থেকেই যে ‘লাইফস্টাইল’  সাধ্যের বাইরে, সে দিকেও ঝুঁকছে মানুষ। সৌগত রায় মনে করেন, স্কুলে মূল্যবোধ তৈরি করা গেলে এই ঝোঁক নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তাঁর কথায়, ‘‘বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশন বা ক্যাথলিক স্কুলের পড়ুয়ারা তাই ‘বেটার’৷’’

বছর সতেরোর অতনু দে এবং অভিষেক নস্কর দু’জনেই ছিল বাগুইআটির হিন্দু বিদ্যাপীঠের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল। ২২ অগাস্ট নিখোঁজ হয় তাঁরা। খোঁজ না পেয়ে দু’দিন পর বাগুইআটি থানায় অভিযোগ দায়ের করে তাঁদের পরিবার। অতনুর বাবা পুলিশকে জানান, মুক্তিপণ চেয়ে বেশ কয়েক বার উড়ো ফোন ও মেসেজ পেয়েছেন তিনি। ঘটনার ১৫ দিন পর গত ৬ সেপ্টেম্বর দুই কিশোরের মৃতদেহ উদ্ধার হয় বসিরহাট পুলিশ জেলার মর্গ থেকে। জানা গিয়েছে, একটি বাইক কেনার জন্য অতনু ৫০ হাজার টাকা দিয়েছিল তাঁদেরই পাড়ার জামাই সত্যেন্দ্র চৌধুরিকে। তাঁর স্ত্রীয়ের সঙ্গে অতনুর ঘনিষ্ঠতা ছিল বলেও অভিযোগ ওঠেছে৷ কিন্তু এই বয়সে এত টাকা তারা কীভাবে পেল,  তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সৌগত রায়৷ 

এদিকে, মাদাকাসক্ত মন্তব্যে পাল্টা দিয়েছেন বিজেপি’র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ তিনি বলেন, ‘‘উনি কি সাপ্লাই করতেন? বয়স হয়েছে৷ যান রাঁচি ঘুরে আসুন৷ কিছুদিন ওঁর প্রকাশ্যে কথা বলা উচিত নয়৷ বাহাত্তর পাড় হলে যা হয় মানুষের, সেই প্রভাব পড়েছে৷ বুদ্ধিশুদ্ধি ঠিক নেই৷ মাথা ঠিক নেই৷ রাঁচি গিয়ে ঘুরে আসুন।’’