কলকাতা: চাইল্ড কেয়ার লিভ-এর নথি দিতে অস্বীকার এবং আদালতের নির্দেশ অবমাননার অভিযোগ৷ জোকা ব্রতচারী বিদ্যাশ্রম গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শ্রাবণী বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেতন বন্ধের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন- দাউ দাউ করে জ্বলল পুলিশের গাড়ি, ভয়ঙ্কর ঘটনা বিজেপির কর্মসূচিতে
ঘটনাটি বেশ কয়েক বছর পুরনো৷ ছেলের পরীক্ষার জন্য ২০১৫-১৬ এবং ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে চাইল্ড কেয়ার লিভ নিয়েছিলেন জোকা ব্রতচারী বিদ্যাশ্রম গার্লস হাই স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষিকা উমা আচার্য। তাঁর ছুটি অনুমোদনও করা হয়েছিল৷ পরে তিনি মহেশতলা গোপালপুর শিক্ষা নিকেতন হাই স্কুলে প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে যোগদান করেন। এর পরেই গন্ডগোলের সূত্রপাত৷ উমাদেবীর চাইল্ড কেয়ার লিভ-এর অনুমোদন সংক্রান্ত নথি এবং সার্ভিস বুক দিতে অস্বীকার করেন ব্রতচারী বিদ্যাশ্রম গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শ্রাবণী বন্দ্যোপাধ্যায়। নিরুপায় হয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তিন৷ দীর্ঘ শুনানির পর দেবনগর হাই স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক (রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত)-কে বিশেষ অফিসার হিসাবে নিয়োগ করে বিষয়টি নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয় আদালত। বিশেষ অফিসারের সামনে বিষয়টি মিটমাট করে নিয়ে সম্মত হন শ্রাবণী৷ সব কিছু মিটেও যায়। কিন্তু, এই বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল, সেই সংক্রান্ত কাগজপত্রে সই করেননি প্রধান শিক্ষিকা৷ শুধু তাই নয়। মঙ্গলবার মামলার শুনানির দিন আদালতের নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আবেদনও জানান তিনি৷
এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। শ্রাবণী বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবীকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন তিনি৷ সেইসঙ্গে প্রধান শিক্ষিকার বেতন বন্ধের নির্দেশ দেন৷ আদালতের সঙ্গে ছলনা করার অভিযোগে স্কুল শিক্ষা দফতরকে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি। বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে স্কুলে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না শ্রাবণী। আগামী ৯ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>