লড়ছেন রুশ বাহিনীর চোখে চোখ রেখে! ইউরোপীয়ান পার্লামেন্টে প্রশংসিত জেলেনস্কি

লড়ছেন রুশ বাহিনীর চোখে চোখ রেখে! ইউরোপীয়ান পার্লামেন্টে প্রশংসিত জেলেনস্কি

কিয়েভ: তাঁর দেশে হামলা করেছে রাশিয়া। লাগাতার ৫ দিন ধরে চলছে যুদ্ধ। প্রাণ হারিয়েছেন কয়েকশো সেনা সহ বহু নাগরিক। যত সময় বাড়ছে তত বেশি চাপ বাড়ছে তাঁর জন্য। ইতিমধ্যে খুনের হুমকি পর্যন্ত পেয়েছেন তিনি, কিন্তু এত কিছুর পরেও নিজের জমি, মাটি ছেড়ে যেতে রাজি নন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ঠিক এই কারণেই ইউরোপীয়ান পার্লামেন্টে প্রশংসিত তিনি। তাঁর ভাষণ শুনে উঠে দাঁড়িয়ে হাততালি দিল সকলে।

আরও পড়ুন- সম্মুখ সমরে রাশিয়া-ইউক্রেন, এই যুদ্ধের নেপথ্য কারণ কী?

জেলেনস্কি এই যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে জানিয়েছেন, ইউক্রেনের সব শহরকে ঘিরে ফেলা সত্ত্বেও, তারা তাদের দেশ ও স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছেন এবং করে যাবেন। কেউ তাদের ভাঙতে পারবে না। তারা শক্তিশালী, তারা ইউক্রেনিয়ান। এমনকি আমেরিকা তাঁকে নিরাপদে দেশ ছেড়ে বেরিয়ে আসার প্রস্তাব দিয়েছিল। নিরাপদ রাস্তা দিয়ে আসার জন্য সাহায্য করবে বলেছিল। তাও রাজি হননি জেলেনস্কি। বরং তিনি অস্ত্র এবং সামরিক সাহায্যের দাবি করেছিলেন। এই কারণেই আজ প্রশংসিত ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। ভার্চুয়ালি ইউরোপীয়ান পার্লামেন্টে বক্তব্য রাখার পর প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে উঠে দাঁড়িয়ে হাততালি দিয়ে সম্মান জানায় ইউরোপীয়ান পার্লামেন্ট।

ইতিমধ্যেই ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত ৪০০ জনের ভাড়াটে বাহিনীকে আফ্রিকা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট খতম করার জন্য খোদ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ‘ওয়াগনার গ্রুপ’-কে  নির্দেশ দিয়েছেন।’ প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির পাশাপাশি আরও ২৩ জন আধিকারিকে হত্যা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। আরও দাবি করা হয়েছে, এই বিশেষ বাহিনী রাশিয়ার কোনও সরকারি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নয়৷  কিন্তু রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। এরা মূলত ভাড়াতে সৈন্য হিসেবেই কাজ করে থাকে। ‘ওয়াগনার গ্রুপ’কে নিয়ন্ত্রণ করে পুতিন ঘনিষ্ঠ অলিগার্চ ইয়েভজেনি প্রিগোজিন৷ পাঁচ সপ্তাহ আগেই মোটা টাকার বিনিময়ে তাদের নিয়ে আসা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eight + 11 =