যুদ্ধে না জড়িয়েই ‘স্বৈরাচারী’ পুতিনকে শায়েস্তা করতে নয়া কৌশল নিল আমেরিকা

যুদ্ধে না জড়িয়েই ‘স্বৈরাচারী’ পুতিনকে শায়েস্তা করতে নয়া কৌশল নিল আমেরিকা

c2d1ffc3596bba7a757287a4c7f7e234

ওয়াশিংটন: ইউরোপের অধিকাংশ দেশ, আমেরিকা ও ন্যাটো বাহিনীর হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সেনা অভিযান শুরু করে রাশিয়া৷ বিশাল বাহিনী স্রোতের মতো ঢুকে পড়ছে ইউক্রেনের অন্দরে৷ যা নিয়ে বারংবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিজেন্ট জো বাইডেন৷ রাশিয়াকে যুদ্ধের পথ থেকে আলোচনায় বসার কথাও বলেছেন। কিন্তু সেই পরামর্শ কানেও তোলেননি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মঙ্গলবার ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে প্রথমবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন বাইডেন।

আরও পড়ুন- লড়ছেন রুশ বাহিনীর চোখে চোখ রেখে! ইউরোপীয়ান পার্লামেন্টে প্রশংসিত জেলেনস্কি

রাশিয়ার এই আগ্রাসনের নিন্দা করলেও তাদের বিরুদ্ধে সরাসরি অস্ত্র তুলে নেয়নি আমেরিকা বা ন্যাটো গোষ্ঠী৷ তবে এবার ঘুরপথে রাশিয়াকে সায়েস্ত করার কৌশল নিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷ পুতিনকে সরাসরি স্বৈরাচারী আখ্যা দিয়ে রাশিয়ার বিমানের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন তিনি। কড়া ভাষায় রাশিয়ার সমালোচনা করে বাইডেন জানান, আমেরিকা ইউক্রেনের পাশেই রয়েছে৷ তবে মার্কিন সেনা এই যুদ্ধে অংশ নেবে৷ 

বেশ কিছুদিন ধরেই জল্পনা চলছিল৷ মঙ্গলবার অবশেষে জাতির উদ্দেশে ভাষণে বাইডেন ঘোষণা করেন, আমেরিকার আকাশসীমা দিয়ে রাশিয়ার কোনও বিমানকে অবতরণ করতে দেওয়া হবে না। তাঁর কথায়, পুতিনের এই আক্রমণ পূর্ব পরিকল্পিত৷ কোনও রকম  উসকানি ছাড়াই হামলা চালিয়েছে মস্কো৷ বাইডেন বলেন, “আমেরিকা সর্বসম্মতভাবে ইউক্রেনের পাশে রয়েছে, তবে রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধের সঙ্গে মার্কিন সেনা জড়াবে না।”

 পুতিনকে ‘স্বৈরাচারী’ বলে তোপ দেগে বাইডেন বলেন, “একজন রাশিয়ান স্বৈরাচারী পররাষ্ট্র দখলের  চেষ্টা করছে…যার মূল্য গোটা বিশ্বকেই চোকাতে হচ্ছে। গণতন্ত্র ও স্বৈরতন্ত্রের মধ্যে লড়াইয়ে এগিয়ে রয়েছে গণতন্ত্রই। পুতিন ট্যাঙ্কার দিয়ে কিয়েভ ঘিরে ফেলতে পারে, কিন্তু উনি কখনই ইউক্রেনের মানুষদের মন জিততে পারবেন না। মুক্ত বিশ্বের চিন্তাধারাকেও কখনও বদলাতে পারবেন না।”

বাইডেনের কথায়, “ স্বৈরাচারীদের হিংসার  মূল্য চোকাতেই হয়৷ ইতিহাস তার সাক্ষী থেকেছে৷ এর জন্যেই বিশ্বজুড়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। এরা আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে যত এগোতে থাকে, বিশ্বের বিপদ তত বাড়তে থাকে। এই বিপদ এড়াতেই, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ন্যাটো সংগঠন তৈরি করা হয়েছিল। আমেরিকা সহ ২৯টি দেশ ন্যাটো গোষ্ঠীর সদস্য। এই সংগঠন ও মার্কিন কূটনীতির গুরুত্ব রয়েছে। রাশিয়ার এই হামলা পূর্বপরিকল্পিত। যুদ্ধের জন্য কেউ উস্কানি দেয়নি। উনি নিজেই কূটনৈতিক আলোচনার প্রস্তাব খারিজ করেছেন। উনি ভেবেছিলেন পশ্চিমী দেশ ও ন্যাটো গোষ্ঠী কোনও জবাব দেবে না। কিন্তু পুতিন ভুল ভেবেছেন৷ আমরা জবাব দিতে প্রস্তুত।”