আসানসোল: মেলেনি জামিন৷ তাই এবারের পুজোটা গারদেই কাটবে বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডলের৷ মহালয়ার ভোরে জেলে বসেই ‘মহিষাসুরমর্দ্দিনী’ শুনেছেন কেষ্ট৷ ওই দিন আবাসিকদের পাতে পড়েছিল মাছ-ভাত৷ কিন্তু পুজোর চারটে দিন কী বন্দোবস্ত থাকছে তৃণমূল নেতার জন্যে? জানা গিয়েছে, পুজোর মেনুতে থাকছে বিশেষ চমক।
জেল সূত্রে খবর, পুজোর দিনগুলোতে আসানসোলের জেলে খাবারদাবারের এলাহি আয়োজন করা হবে। সপ্তমীর দিন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির পাতে পড়বে দেশি মুরগির ঝোল। অষ্টমীতে থাকছে নিরামিষ খিচুড়ি ও পাঁচমিশালি সবজি। নবমী ও দশমীতে থাকছে যথাক্রমে বড় কাতলা মাছের ঝোল ও দেশি মুরগি। সঙ্গে থাকবে একদিন ভাত ও একদিন ফ্রায়েড রাইস। প্রতিদিন নৈশভোজে অনুব্রতর থালায় থাকবে বিশেষ ধরণের মিষ্টি। না, শুধু কেষ্ট নন, পুজোর এই চারদিন জেলের সব আবাসিকদের জন্যেই এই বিশেষ বন্দোবস্ত করা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই জেলে মহালয়া কেটেছে কেষ্টর৷ অন্যান্য দিন সাধারণত ৯টায় ঘুম থেকে ওঠেন৷ মহালয়ার দিন উঠে পড়েছিলে খুব ভোরে। ঘুম থেকে উঠেই স্নান সারেন৷ তারপর জেলেই তর্পণ করেন৷ যদিও জেলে তর্পণের বন্দোবস্ত থাকে না৷ তাই কলের জলে স্নান করেই পিতৃপুরুষকে স্মরণ করেন অনুব্রত৷ বেলায় টিভি দেখে সময় কাটান। যে কোনও বিশেষ দিনেই আবাসিকদের জন্য একটু আলাদা ব্যবস্থা রাখা হয়। মহালয়ার ভোরে প্রতি বছর আবাসিকদের রেডিয়োয় ‘মহিষাসুরমর্দ্দিনী’ শোনানোর বন্দোবস্ত করে থাকে জেল কর্তৃপক্ষ৷ এ বারও অন্যথা হয়নি। অন্য আবাসিকদের সঙ্গে এ দিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে মহিষাসুরমর্র্দ্দিনা শোনেন কেষ্টও৷ তবে এর পর বেশ কিছুক্ষণ বিছানাতেই কাটে তাঁর৷
রবিবার আবাসিকদের দেওয়া হয়েছিল ছিল মাছের ঝোল-ভাত। কিন্তু, সেদিন আমিষ খাবার মুখে তোলেননি অনুব্রত। জেল সূত্রে খবর, এদিন নিরামিষ খাবারের জন্য আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি৷ সেই আর্জি মেনে তাঁর জন্য লাউ-পটল-আলু দিয়ে তরকারির তৈরির ব্যবস্থা করা হয়। তবে পুজোতে হবে জমাটি ভোজ৷ প্রসঙ্গত, সংশোধনাগারে আসার পর পুকুরের মাছ ও দেশি মুরগির ঝোলের জন্য আবদার করেছিলেন কেষ্ট৷
অনুব্রত মণ্ডলের বিভিন্নরকম শারীরিক সমস্যা থাকার কারণে তাঁকে এমনিতেই মেপে খেতে হয়। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী দিনে অনেক রকমের ওষুধ খেতে হয় তাঁকে৷ সেই পরামর্শ মেনেই খাবার দেওয়া হবে কেষ্টকে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>