কলকাতা: পুজোর আনন্দে মাতোয়ারা বঙ্গবাসী৷ কিন্তু ওঁরা এখনও পথে৷ চাকরির পাওয়ার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে পছের ধুলো মেখে৷ পুজোর মধ্যেই সেই আন্দোলন চলবে৷ চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলনে কোনও বাধা নেই। শুক্রবার সাফ জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট৷ রাজ্যের যুক্তি ছিল, পুজোর সময় অতিরিক্ত ট্রাফিকের চাপ থাকে, এই সময় রাস্তায় আন্দোলন চললে অসুবিধা হতে পারে। কিন্তু, সেই যুক্তি এ দিন খারিজ করে দেয় উচ্চ আদালত৷
আরও পড়ুন- ২০২৩ সালের গোড়াতেই পঞ্চায়েত ভোট? মিলল বড় ইঙ্গিত
শুক্রবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার একক বেঞ্চে ছিল মামলার শুনানি। সেই সময়ই বিচারপতি বলেন, ‘যোগ্য প্রার্থীরা রাস্তায় বসে চাকরি ভিক্ষা করবেন, আর পুজো আছে বলে পুলিশ তাঁদের আন্দোলন করতে দেবে না? এটা হয়না। এটা যুক্তি গ্রহণযোগ্য নয়।’
ধর্মতলা চত্বরে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন চালাচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীরা৷ সেখানে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বিক্ষোভ করার আবেদন জানিয়েছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রাথমিকের বঞ্চিতরা। এদিন আদালত জানায়, আগামী একমাস এখানে আন্দোলন করতে পারবেন তাঁরা। নির্দিষ্ট সময় মেনে অবস্থান বিক্ষোভ করতে হবে। তবে রানি রাসমণি রোড নাকি গান্ধীমূর্তির পাদদেশ, কোথায় তাঁরা আন্দোলনে বসবেন তা পুলিশের সঙ্গে কথা বলেই ঠিক করতে হবে চাকরিপ্রার্থীদের।
চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, ২০০৯ সাল থেকে প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়৷ অথচ দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এখনও নিয়োগ শুরু হয়নি। এর প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বিক্ষোভের জন্য পুলিশের কাছে আবেদন জানানো হলেও পুলিশ অনুমতি দেয়নি। এর পরেই তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হয়৷
এদিন শুনানির সময় সরকার পক্ষের আইনজীবীর দাবি ছিল, পুলিশকে পুজোর সময় অনেক বেশি ব্যস্ত থাকতে হয়। রানি রাসমণি রোডে আগে থেকেই একটি অবস্থান চলছে৷ গান্ধীমূর্তির পাদদেশে তাঁরা অবস্থান করতে চাইলে বিবেচনা করা যেতে পারে৷ আন্দোলনের স্থান ঠিক করা না হলেও আন্দোলনের অনুমতি দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>