ইউরোপের বৃহত্তম পরমাণু কেন্দ্র রাশিয়ার দখলে! এবার তাহলে কী…

ইউরোপের বৃহত্তম পরমাণু কেন্দ্র রাশিয়ার দখলে! এবার তাহলে কী…

424443d7ce6a824b2940987c7f81ab01

কিয়েভ: দীর্ঘ আট দিন ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। লাগাতার আক্রমণ, বোমা, মিসাইলের তাণ্ডবে কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে ইউক্রেনের একাধিক শহর। পরিস্থিতি এমনটিতেই খারাপ, এরই মাঝে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের জল্পনা উস্কে রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সেরগেই ল্যাভরভ পরমাণু হামলার ইঙ্গিত দিয়েছেন। যা নিয়ে তোলপাড়। এবার আরও বড় খবর সামনে এল। জানা গিয়েছে, ইউরোপের বৃহত্তম পরমাণু কেন্দ্রের দখল ইতিমধ্যেই নিয়ে নিয়েছে রাশিয়া! ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি’কে তারা চিঠি দিয়ে এই কথা জানিয়েছে।

আরও পড়ুন- রাশিয়ান ট্যাঙ্কার ঢুকতে দেবেন না! ব্রিজে নিজেকেই উড়িয়ে দিলেন ইউক্রেনীয় সেনা

ইউক্রেনে ১৫তি পরমাণু কেন্দ্র রয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বড় কেন্দ্রটি রয়েছে জাপরজাইয়ে আর সেটাই এখন রাশিয়ান সেনার দখলে। যেভাবে যুদ্ধ চলছে তাতে যদি কোনও ভাবে কোনও বোমা বা মিসাইল পরমাণূ কেন্দ্রে পড়ে তাহলে ইউক্রেন তো বটেই ইউরোপের একাংশ ধূলিস্মাৎ হয়ে যাব এমন আশঙ্কা আছে। তাই পরমাণূ কেন্দ্রের আশপাশে যুদ্ধ চলায় রীতিমতো উদ্বিগ্ন গোটা বিশ্ব। যদিও’ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি’কে রাশিয়া সরকার চিঠি দিয়ে স্পষ্ট করে জানিয়েছে, পরমাণু কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে এবং রেডিয়েশনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কোনও ভাবে যাতে পরিস্থিতি বেগতিক না হয় তার চেষ্টাই চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আসলে রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী বলেছিলেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া৷ পালটা জবাব দিতে কিয়েভ যদি রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করে, তাহলে তার ফল হবে ভয়ঙ্কর৷

সম্প্রতি চেরনোবিল নিয়েও ব্যাপক উৎকণ্ঠা সৃষ্টি হয়েছিল। রাশিয়া চেরনোবিল দখল করার পর জানা গিয়েছিল, সেখানকার পারমাণবিক শক্তি কেন্দ্রের আশাপাশে হু হু করে বাড়ছে তেজস্ক্রিয় গামা রশ্মির বিকিরণ, যার মাত্রা স্বাভাবিকের থেকে প্রায় ২০ গুণ বেশি! তবে আপাতত স্বস্তি যে এই বিকিরণ এখন শুধুমাত্র চেরনোবিলের আশেপাশের ‘এক্সক্লুসন জোনেই’ সীমাবদ্ধ। কিন্তু আশঙ্কা, যথা সময়ে পদক্ষেপ না করলে তা ‘এক্সক্লুসন জোন’ থেকে বাইরে ছড়িয়ে পড়বে তা ভয়ানক আকার ধারণ করতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *