আমতা: জলপাইগুড়ির মাল নদীতে আচমকা হড়পা বানে তলিয়ে গিয়েছেন অনেকেই। বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করা গেলেও ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এই ঘটনায়। দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের দিন এই মর্মান্তিক ঘটনায় এখনও আতঙ্কিত রাজ্যের মানুষ। এই আবহের মধ্যেই আবারও ঘটল এক ভয়ঙ্কর ঘটনা। মাল নদীর বিপর্যয়ের পর এ বার আমতায় মুণ্ডেশ্বরী নদীর জলস্রোতে বিপাকে পড়লেন হাজার হাজার মানুষ। জলের তোড়ে তিনটি বাঁশের সেতু ভেঙে গিয়েছে। যদিও হতাহতের কোনও খবর নেই।
আরও পড়ুন- দুর্ঘটনার সন্ধ্যায় মাল নদীর পাড়েই ছিলেন না NDRF কর্তা, চলে গিয়েছিলেন আত্মীয়ের বাড়ি!
জানা গিয়েছে, ডিভিসি থেকে অতিরিক্ত জল ছাড়ার ফলে শুক্রবার সকালে হাওড়ার আমতায় মুণ্ডেশ্বরী নদীতে আচমকা জল বেড়ে যায়। তার কারণে তিনটি বাঁশের সেতু ভেঙে গিয়েছে। আর এই সেতু ভাঙার ফলে বিপাকে পড়েছেন প্রায় ৪০ হাজার বাসিন্দা। মূল ভূখণ্ড থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন তাঁরা। আসলে আমতার দ্বীপাঞ্চল ভাটোরার সঙ্গে মূল ভূখণ্ডের যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে এই সেতুগুলি ভেঙে যাওয়ার ফলে। তাই হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন। যদিও প্রশাসনের তরফে দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
বিষয় হল মাল নদীর ঘটনায় আতঙ্ক কিছুতেই কাটছে না মানুষের। বুধবার প্রতিমা বিসর্জন করতে মাল নদীর তীরে এসে দাঁড়িয়েছিল বহু গাড়ি। বিসর্জন দেখতে এসেছিলেন বহু মানুষ। বহু শিশু ও মহিলা নদীর ধারে দাঁড়িয়েছিলেন। এরই মাঝে আচমকাই হড়পা বান চলে আসে। এক ধাক্কায় নদীর জলস্তর অনেকখানি বেড়ে যায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই জলের ধাক্কায় ভেসে যান অনেকে। এই ঘটনায় শোকাহত হয়েই জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন মিউনিসিপালিটি এলাকায় কার্নিভাল বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।