কলকাতা: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ব্যাঙ্কশাল আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে, আগামী ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত তাঁকে ইডি হেফাজতে থাকতে হবে। অর্থাৎ ১৪ দিনের ইডি হেফাজত দেওয়া হয়েছে তাঁকে। সূত্রের খবর, এদিন আদালতে জামিনের আর্জি পর্যন্ত জানাননি মানিক ভট্টাচার্য। মূলত, বয়ানে অসঙ্গতি এবং তদন্তে অসহযোগিতা করার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি।
আরও পড়ুন- মানিক ইজ টেকিং মানি যা-তা ভাবে! পার্থর ফোনে এসেছিল মেসেজ, বলছে ইডি
সোমবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠানো হয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে৷ ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। রাতভর টানা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। মঙ্গলবার সকালেই তাঁকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিন ইডির আইনজীবী আদালতে জানান, মানিকের ব্যাঙ্কের একাধিক নথি খতিয়ে দেখতে হবে। মানিকের সম্পত্তি নিয়ে বিস্তারিত তথ্যও সংগ্রহ করা প্রয়োজন।
যদিও আজ মানিকের আইনজীবী ইডির গ্রেফতারির বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। তাঁর প্রশ্ন ছিল, এই মামলায় শীর্ষ আদালত রক্ষাকবচ দিয়েছিল তাঁর মক্কেল মানিক ভট্টাচার্যকে। সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করতে পারবে না বলে জানান হয়েছিল। তাহলে ইডি গ্রেফতার করে কী করে? তবে আদালতে ইডি দাবি করেছে, লক্ষ লক্ষ টাকায় চাকরি বিক্রি করা হয়েছে। প্রাথমিক এক হিসেবে ৪৪ জনের অনৈতিকভাবে চাকরি হয়েছে, প্রত্যেকে দিয়েছেন ৭ লক্ষ টাকা করে। এছাড়া মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে ওএমআর শিট নষ্টের অভিযোগও রয়েছে।