নিউ ইয়র্ক: মহাকাশ থেকে সুবিশাল চেহারা নিয়ে হামেশাই পৃথিবীর দিকে ছুটে আসে গ্রহাণুরা৷ কখনও আবার ধেয়ে আসে আগুনে ধূমকেতু। সেই সব মহাজাগতিক বস্তুদের ‘আক্রমণ’ থেকে পৃথিবীকে বাঁচাতে ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ তৈরি করেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা৷ এক অস্ত্রের আঘাতেই ঘায়েল হবে ঘাতক সব গ্রহাণু। পৃথিবীর দিকে তেড়ে আসা যে কোনও মহাজাগতিক বস্তুকে মহাকাশেই বিনাশ করবে নাসার তৈরি অস্ত্র ‘ডাবল অ্যাস্টারয়েড রিডাইরেকশান টেস্ট’ বা ‘ডার্ট’।
আরও পড়ুন- সূর্যের অজানা রহস্য উন্মোচনে কুয়াফু-১ স্যাটেলাইট পাঠাল চিন
নাসার এই ‘ডার্ট’ মিশন শুরু হয়েছিল একটি গ্রহাণুকে ধাক্কা দিয়ে৷ তা প্রায় একমাস হতে চলল। এই ‘ধাক্কা’র মূল লক্ষ্য ছিল ওই গ্রহাণুর গতিপথ বদল করা। আর সেই লক্ষ্যে দারুণ সফল নাসা। মঙ্গলবার তাদের ডার্ট মিশনের সাফল্য ঘোষণা করে মার্কিন গবেষণা সংস্থা। বিজ্ঞানীরা জানান, তাদের পাঠানো মহাকাশযানের ধাক্কায় গ্রহাণুর গতিপথ বদলে গিয়েছে। নাসার প্রধান বিল নেলসন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের গ্রহের প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে এই সাফল্য ঐতিহাসিক৷ গোটা মানব সভ্যতার কাছেও এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।”
নাসার তরফে আগই জানানো হয়েছিল, ডার্টের পরীক্ষার লক্ষ্য বস্তু ছিল ডাইমরফোস গ্রহাণু৷ ৫৩০ ফুট চওড়া ডাইমরফোসের উপরে আছড়ে পড়ে ডার্ট। কক্ষপথ থেকে তাকে সামান্য সরিয়েও দেয়। এই ডাইমরফোস আবার ঘুরে চলেছে তার চেয়ে বহু বড় গ্রহাণু ডিডাইমস-এর চারপাশে৷ যার ব্যাস ২৫০০ ফুট৷ দু’টি গ্রহাণু একত্রে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে।
পৃথিবীর দিকে কোনও গ্রহাণু ছুটে এলে তাকে কীভাবে প্রতিহত করা যাবে, তা খুঁজে বার করাই ছিল নাসার এই অভিযানের মূল লক্ষ্য৷ এর জন্য প্রায় ১.১ কোটি কিলোমিটার দূরে থাকা ডাইমরফোস নামের ওই গ্রহাণুকে ধাক্কা মেরে তার গতিপথ বদলের চেষ্টা করেছিল ডার্ট৷ গত বছর নভেম্বর নাসে ক্যালিফোর্নিয়ার ভ্যানডেনবার্গ এয়ার ফোর্স বেস থেকে স্পেসএক্স ফ্যালকন ৯ রকেটে যাত্রা শুরু করে এটি। চলতি বছর সেপ্টেম্বর মাসে মহাকাশযানটি ওই গ্রহাণুটিকে ধাক্কা মারে।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর ঘণ্টায় ২০ হাজার কিমি বেগে ১৬০ মিটার প্রশস্ত ডাইমরফোস নামের ওই গ্রহাণুর উপর সরাসরি ধাক্কা মারে। নাসার বিজ্ঞানীরা আসলে দেখতে চাইছিলেন, কোনও মহাকাশযান ‘ধাক্কা মেরে’ কোনও গ্রহাণুর গতিপথ বদলে দিতে পারে কিনা। এই ডাইমরফোস আবার ঘুরে চলেছে তার চেয়ে বহু বড় গ্রহাণু ডিডাইমস-এর চারপাশে৷ যার ব্যাস ২৫০০ ফুট৷ দু’টি গ্রহাণু একত্রে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। বিজ্ঞানীরা জানান, এই দুই গ্রহাণু পৃথিবীর জন্য ক্ষতিকর নয়। তবে তাদের বেছে নেওয়া হয়েছিল পরীক্ষার জন্য৷ এরা ‘নিয়ার আর্থ অবজেক্টস’ গোষ্ঠীর মধ্যে সামিল।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>