টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনে রণক্ষেত্র করুণাময়ী

টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনে রণক্ষেত্র করুণাময়ী

কলকাতা: ২০১৪ প্রাইমারি টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভে উত্তাল সল্টলেকের করুণাময়ী৷ পুলিশের সঙ্গে চাকরিপ্রার্থীদের ধস্তাধস্তি৷ টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয় বেশ কিছু প্রার্থীকে৷ এরই মাঝে পুলিশি বাধা পেরিয়ে আচার্য ভবনের সামনে দৌড়ে  চলে আসেন বেশ কিছু প্রার্থী৷ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনেকেই৷ তবে সেখান থেকে নড়তে তাঁরা নারাজ৷ করুণাময়ীতেই অবস্থানে বসে পড়েন আন্দোলনকারীরা৷ 

আরও পড়ুন- এই দিন ছুটি পাচ্ছেন সরকারি কর্মীরা, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ নবান্নের

এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, ২০২০ সালের ১১ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় নবান্ন থেকে তৎকালীল মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে ঘোষণা করেছিলেন, প্রাইমারি টেট উত্তীর্ণ সকল প্রার্থীকে চাকরি দেওয়া হবে৷ ২০ হাজারের মধ্যে ১২ হাজার নিয়োগ পেয়েছে৷ বাকিরা এখনও নিয়োগের অপেক্ষায়৷ তাঁর দাবি, যাঁরা টাকা দেবে তাঁদের ইন্টারভিউতে ১০-এর মধ্যে ১০ দিয়ে দেওয়া হবে৷ বাকিদের ২-৩৷ এছাড়া গেজেট পরিবর্তনের দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা৷ আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, টেট-এর নম্বরের ওয়েটেজ বাড়াতে হবে৷ ইন্টারভিউ-এর নম্বর কমাতে হবে৷ সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হবে৷ 

২০১৪ এবং ২০১৭৭-র টেট উত্তীর্ণ যে ১১ হাজার চাকরি প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হবে, সেই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা অংশগ্রহণ করবে না৷ নিজেদের দাবি নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসের সামনে চলছে তাঁদের বিক্ষোভ৷ কয়েক হাজার চাকরিপ্রার্থী সেখানে জড়ো হয়েছেন৷ তাঁদের একটাই দাবি, আর স্লোগান নয়, এবার জয়ের বর্তা নিয়েই বাড়ি ফিরবেন৷ দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থানে অনঢ় আন্দোনকারীরা৷ চাকরি প্রার্থীদের গলায় উই শ্যাল ওভারকাম৷ অন্যদিকে, ক্রমাগত রাস্তা খালি করার পুলিশি হুঁশিয়ারি৷ 

২০১৪ সালের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে তাঁরা টেট উত্তীর্ণ হয়েছিলেন৷ এর পর তাঁরা দু’বার ইন্টারভিউ-ও দেন৷ অভিযোগ, বহু অযোগ্য প্রার্থী বেআইনি ভাবে চাকরি পেয়েছেন৷ অথচ তাঁরা আজও বঞ্চিত৷ এদিন তুমুল অশান্তির মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়লেন অনেকেই৷ তবে আন্দোলন স্থল ছেড়ে যেতে নারাজ৷ সল্টলেকে করুণাময়ী মেট্রো স্টেশনের নিচে রাস্তার উপর ৫০০ থেকে ৬০০ জন চাকরিপ্রার্থী বসে রয়েছে৷ এপিসি ভবনের সামনেও শতাধিক চাকরিপ্রার্থী বসে রয়েছে। তাঁদের একটাই কথা,, আমাদের চাকরি বেঁচে দেওয়া হয়েছে৷ আমারা নিয়োগ চাই৷ অযোগ্যদের সরিয়ে আমাদের নিয়োগ দিন৷