রাত পোহালেও অবস্থানে অনড় টেট-উত্তীর্ণরা, এদিকে সাংবাদিক বৈঠকে যা বললেন পর্ষদ সভাপতি

রাত পোহালেও অবস্থানে অনড় টেট-উত্তীর্ণরা, এদিকে সাংবাদিক বৈঠকে যা বললেন পর্ষদ সভাপতি

কলকাতা: রাত পেরিয়ে ভোর৷ তাও থামেনি ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন৷ সল্টলেকের করুণাময়ীতে তাঁরা আন্দোলনে অনড়৷ এদিকে, বেলায় সাংবাদিক সম্মেলন করলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল৷ 

আরও পড়ুন- ইডির পক্ষে রায়ের বিরোধিতা, দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ সায়গল

তিনি বলেন, ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণরা একটা মঞ্চ তৈরি করেছেন। যার মান একতা মঞ্চ। তাঁরা আমার কাছে দাবি সনদ পেশ করেছেন। আন্দোলনকারীরা আমাদের অফিসের মূল গেটের সামনে বসে রয়েছেন। পুলিশের মধ্যস্থতায় তাঁদের চার জন প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলেছি। পর্ষদ সভাপতি আরও বলেন, ২৯ তারিখ যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল, তাতে বলা হয়েছে ১১ হাজারের কিছু বেশি পদে নিয়োগ করা হবে৷ কিন্তু ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীরা এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে নারাজ৷ তাঁদের দাবি, ২০১৪ সালে তাঁরা টেট পাশ করেছেন৷ তাঁদের প্রশিক্ষণও রয়েছে৷ দু’বার ইন্টারভিউও দিয়েছেন৷ কিন্তু তাঁদের নাম তালিকাভুক্ত হয়নি৷ তাই তাঁরা আর নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেবেন না৷ তাঁদের নিয়োগপত্র দিতে হবে৷ 

পর্ষদ সভাপতি আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর সম্মতিতে ২০২০ সালে ১৬ হাজার ৫০০টি নতুন পদ তৈরি করা হয়েছিল৷ তৎকালীন কর্মকর্তারা এই পদ অনুমোদন করেছিলেন৷ ২০২১ সালে এই সাড়ে ষোল হাজার শূন্যপদের নিরিখে নিয়োগ দেওয়া হয়৷ ২৯ হাজার ৬৬৫ জনের আবেদনের ভিত্তিতে এমপ্যানেল্ড হন ১৩ হাজার ৬৮৫ জন৷ এর মধ্যে ১৩ হাজার ৫৬৪ জন চাকরিতে যোগদান করেন৷ অর্থাৎ টেট উত্তীর্ণ, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নট-ইনক্লুডেড প্রার্থীর সংখ্যা ১৬ হাজার ১০১ জন৷ 

গৌতম পাল জানান, ২০১৭ সালে যাঁরা টেট পাশ করেছেন, তাঁরাও চাকরির দাবিদার৷ এর পর ২০২২ সালে ফের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়৷ এক্ষেত্রে ২০১৬ সালের রিক্রুটমেন্ট আইন মেনে নিয়োগ দিতে হবে৷ ২০২১ সালে ২০১৭-র টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীরা ছিলেন না৷ ২০২০ সালে মুখ্যমন্ত্রী যে সাড়ে ১৬ হাজার পদ তৈরি করেছিলেন, সেখানে ২০১৭ সালের টেট পাশ প্রার্থীরা না থাকলেও এবার তাঁরাও অংশ নিচ্ছেন৷ এতেই আপত্তি ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের৷  

২০১৪ এবং ২০১৭ সালের টেটে ‘ব্যাপক দুর্নীতি’ হয়েছে বলে অভিযোগ আন্দোলনকারীদের। বেআইনি ভাবে প্রাথমিকে চাকরি পাওয়া ব্যক্তিদের অপসারিত করে মেধার ভিত্তিতে টেট-উত্তীর্ণ যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানিয়ে সোচ্চার হয়েছেন তাঁরা। ২০১৭ সালে প্রার্থীদের সঙ্গে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও ভাবেই অংশ নিতে চান না ওই চাকরিপ্রার্থীরা।