উস্কানি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ! যোগ্যদের চাকরি না হওয়া পর্যন্ত লড়াই, এল হুঁশিয়ারি

উস্কানি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ! যোগ্যদের চাকরি না হওয়া পর্যন্ত লড়াই, এল হুঁশিয়ারি

কলকাতা: ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন নিয়ে বড় মন্তব্য করেছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল। চাকরির দাবির আইনি বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এই ইস্যু নিয়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে। যথেষ্ট পরিমাণে সমালোচিত হচ্ছেন পর্ষদ সভাপতি। কিন্তু তিনি যাই বলুন না কেন, সমস্ত যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি না হওয়া পর্যন্ত যে এই লড়াই চলবে, তা স্পষ্ট করেই বলে দেওয়া হচ্ছে সংগঠনগুলির তরফ থেকে।

আরও পড়ুন- ইডির পক্ষে রায়ের বিরোধিতা, দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ সায়গল

বলা হচ্ছে, এই আন্দোলনের দাবি বৈধ নয় বলা হচ্ছে আর কুটনৈতিক বুদ্ধি দিয়ে ২০১৪ ও ২০১৭ ব্যাচের টেট পাস চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে উস্কানী দেওয়া হচ্ছে। তবে, NCTE-এর নিয়ম অনুযায়ী, প্রাইমারিতে ৩৫ঃ১ হল ছাত্র শিক্ষকের অনুপাত। সেই হিসাব অনুযায়ী রাজ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলিতে শূন্যপদ আনুমানিক ১ লক্ষ ২০ হাজারের বেশি। রাজ্যে এই মূহুর্তে টেট পাস ট্রেন্ড চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা ২৪ থেক ২৫হাজার ( ২০১৪ ও ২০১৭ মিলিয়ে)। দাবি, সরকারের ক্ষমতা আছে সব টেট পাস ট্রেন্ড চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ করা। কিন্তু সেটা না করে ২০১৪ ও ২০১৭ টেট পাস ট্রেন্ডদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করা হচ্ছে। কেন, এই প্রশ্ন উঠছে।

একই সঙ্গে এও প্রশ্ন যে কেন বারে বারে পর্ষদ ও বিকাশ ভবন থেকেই উস্কানীমূলক মন্তব্য করা হচ্ছে। পাশাপাশি দাবি করা হচ্ছে, RTI করে ১৪ জেলার শূন্য পদ পাওয়া গিয়েছে এবং সেই সংখ্যা ১০ হাজার ৮৯০। তার মধ্যে নদীয়া জেলায় নাকি শূন্যপদ নেই। যা অসম্ভব। এই সংখ্যার সঙ্গে ৯ টি জেলার শূন্যপদ যোগ করলে
সব টেট পাস ট্রেন্ড চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ সম্ভব। সংগঠনগুলির মূল বক্তব্য, এরা দূর্নীতি করতে চায়, তাই এই কাজ করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × two =