চলছে আমরণ অনশন, সাদা কাপড় গায়ে জড়িয়ে ‘জীবন্ত লাশ’ চাকরিপ্রার্থীরা

চলছে আমরণ অনশন, সাদা কাপড় গায়ে জড়িয়ে ‘জীবন্ত লাশ’ চাকরিপ্রার্থীরা

কলকাতা: সোমবার থেকে শুরু হয়েছে তাঁদের আন্দোলন৷ দাবি, চাকরি চাই। চার দিন পরই অবস্থানে অনড় ২০১৪ সালের টেটে উত্তীর্ণরা৷ সল্টলেকের করুণাময়ীতে একই ভাবে পড়ে রয়েছেন তাঁরা৷ খাবার নেই, জল নেই৷ ভুখা পেটেই চলছে আন্দোলন। অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বেশ কয়েকজন৷ কিন্তু আন্দোলন থেকে এক চুলও সরানো যায়নি তাঁদের৷ গলা ভেঙে গিয়েছে৷ ঠিক মতো স্বর বেরোচ্ছে না৷ তবে থামেনি তাঁদের স্লোগান৷ চাকরির দাবিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কার্যালয় আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র (এপিসি) ভবনের সামনে লাগাতার চলছে টেট উত্তীর্ণ ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের আমরণ অনশন৷ আর আন্দোলনের চতুর্থ দিন চোখে পড়ল অন্য দৃশ্য। রাস্তায় শুয়ে রয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। গায়ে সাদা কাপড়৷ তাঁদের কথায়, তাঁরা জীবন্ত লাশ!

আরও পড়ুন- ফের শহরে টাকার হদিশ, উল্টোডাঙায় আমির-ঘনিষ্ঠের বাড়ি থেকে উদ্ধার দেড় কোটি

বৃহস্পতিবার চতুর্থ দিনে পড়েছে তাঁদের আন্দোলন। ইতিমধ্যেই পর্ষদ সভাপতি জানিয়েন, আন্দোলনকারীদের এই দাবি অন্যায্য৷ এই দাবি মানা সম্ভব নয়। একই কথা বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও। তিনি বলেন, ‘‘ভূভারতে এমন কোনও দিন হয়েছে? যে একটা প্যানেল বেরিয়েছে, আর সেই প্যানেলের সকলকে চাকরি দেওয়া হবে।’’ কিন্তু নিজেদের দাবি থেকে সরতে নারাজ চাকরিপ্রার্থীরা।

করুণাময়ীর অনশন স্থলে বায়োটয়লেট বসানো হোক, এমনটাই দাবি করেছিলেন বিজেপি নেত্রী তনুজা চক্রবর্ত্তী। কিন্তু, সেখানে বায়োটয়লেট বসাতে দেয়নি পুলিশ। তা নিয়ে বুধবার একপ্রস্থ অশান্তি হয়৷ পুলিশ জানায়, বিএমসি অনুমতি দেয়নি। যা নিয়ে পুলিশ ও বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ও হয়।

ক্রমেই টেট উত্তীর্ণদের আন্দোলনে মিশছে রাজনৈতিক দল। কিন্তু, এখনও পথেই পড়ে ওঁরা। চাকরিপ্রার্থীরা অবশ্য আগেই স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, তাঁরা কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য নন। তাঁদের একটাই দল বেকারত্ব। হকের চাকরি ছিনিয়ে নিতে ধনুক ভাঙা পন তাঁদের। এক আন্দোলনকারীর কথায়, “প্রায় মরেই তো গিয়েছি। শেষ লড়াইটা লড়ছি। মরতে হলে এখানেই মরব।”