কিয়েভ: যুদ্ধ বিমান, চপার থেকে সামরিক সরঞ্জামের জন্য ভারত সবচেয়ে বেশি নির্ভর করে রাশিয়ার উপর৷ কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে রাশিয়া থেকে যুদ্ধবিমান, ট্যাঙ্ক এবং সাঁজোয়া গাড়ি সরবরাহ বাধাপ্রাপ্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে৷ এমনকী সমস্যা তৈরি হতে পারে অতি স্বল্পপাল্লার বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, হেলিকপ্টার এবং নানা সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের ক্ষেত্রে৷ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে এমনই আশঙ্কার কথা শোনানো হয়েছে৷
আরও পড়ুন- ছাপিয়ে গেল ইরান, উত্তর কোরিয়াকেও! নিষেধাজ্ঞায় জর্জরিত রাশিয়া
গত কয়েক বছর ধরেই রাশিয়ার কাছ থেকে টি-৯০ ট্যাঙ্ক, মিগ-২৯কে যুদ্ধবিমান এবং বিএমপি-২ সাঁজোয়া গাড়ি আমদানি করে ভারত। শুধু তাই নয়, সেগুলি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশের একাংশও কেনা হয় রাশিয়ার কাছ থেকে। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কায় এই আমদানি প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হতে পারে বলেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর৷ যুদ্ধ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত রাশিয়া থেকে ‘৯কে ৩৮ ইগলা’ অতি স্বল্পপাল্লার বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র আমদানির করার ক্ষেত্রেও বাধা তৈরি হতে পারে৷
মোদী জমানায় কেএ-২২৬টি হেলিকপ্টার কেনার নিয়েও মস্কোর সঙ্গে বেশ কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে নয়াদিল্লির। তবে গত বছর কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পের উপর অধিক জোড় দেওয়ায় বিদেশ থেকে মাঝারি বহুমুখী ব্যবহারযোগ্য সামরিক কপ্টার কেনার প্রক্রিয়া শ্লথ করা হয়৷ তবে গত সপ্তাহে ভারতে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত ডেনিস অলিপোভ জানিয়েছিলেন, ইউক্রেনে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলেও, ভারতকে এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের ক্ষেত্রে বিলম্ব করবে না মস্কো৷ ইতিমধ্যেই রাশিয়া থেকে দু’টি এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী সিস্টেম ভারতে এসে পৌঁছেছে। এপ্রিল মাসের মধ্যে আরও তিনটি এসে পৌঁছবে৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>