কলকাতা: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ডের ঘোষণা করে বঙ্গবাসীকে সুস্বাস্থ্যের বার্তা দিয়েছিলেন। এই প্রকল্প লাগু হয়েছে খুব একটা বেশি সময় হয়নি। তবে এর মধ্যেই যে এই প্রকল্প সফল তা দাবি করেছে সরকার। সম্প্রতি রাজ্য স্বাস্থ্যসাথী বিমা প্রকল্প নিয়ে বড় তথ্য দিয়েছে। জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পের আওতায় চলতি আর্থিক বছরে এখনও পর্যন্ত ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি হাসপতালে সুবিধাভোগীদের চিকিৎসা খরচ বাবদ ২৫০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। বাকি টাকা বেসরকারি হাসপাতালের বিল মেটাতে খরচ করা হয়েছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। একই সঙ্গে বেসরকারি হাসপতালের ৯৫ শতাংশ বকেয়া মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দফতরের দাবি।
আরও পড়ুন- ঘণ্টায় ৩১ কিমি বেগে এগোচ্ছে ‘সিত্রাং’, সন্ধ্যার পর থেকেই তাণ্ডবের সম্ভাবনা
চলতি আর্থিক বছরের রাজ্য বাজেটে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের জন্য আড়াই হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ২০২১-২২ আর্থিক বছরে এই প্রকল্পে ব্যয় করা হয়েছে ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা। ২০১৬ সালে রাজ্য স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প চালু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত রাজ্যের ২ কোটির বেশি পরিবার এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করেছে। সুবিধা পেয়েছেন ২৪ লক্ষ ৮৫ হাজার মানুষ। তাঁদের বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে সিএমসি ভেলোরের সঙ্গে রাজ্যের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তার পরে এ পর্যন্ত রাজ্যের ৭ হাজার ৬২০ জন রোগী ভেলোরে চিকিৎসা করিয়েছেন, যার জন্য ব্যয় হয়েছে ৮৭ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা।
উল্লেখ্য, রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হতে গেলে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড বা কেন্দ্রের সিজিএইচএস কার্ড অথবা ইএসআই কার্ড দেখাতে হবে। কারও কাছে যদি হাসপাতালে ভর্তির সময় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না থাকে, তাহলে আধার নম্বর দিয়ে স্বাস্থ্য কার্ড সংক্রান্ত তথ্য জানিয়ে ভর্তি হওয়া যাবে। যদিও অনেক ক্ষেত্রে একাধিক হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে বিগত দিনগুলিতে। যা অন্য বিতর্ক।