শূকরের হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপন হয়েছিল, ২ মাস পর মৃত্যু ব্যক্তির

শূকরের হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপন হয়েছিল, ২ মাস পর মৃত্যু ব্যক্তির

নিউইয়র্ক: নজিরবিহীন বললেও ভুল বলা হবে। বিশ্ব প্রথমবারের জন্য মানবদেহে প্রতিস্থাপিত হয়েছিল শূকরের হৃদপিণ্ড। দু’মাস আগে এই সফলতা পেয়েছিল চিকিৎসাশাস্ত্র। কিন্তু সেই সাফল্য টিকল না। অস্ত্রপচারের দু’মাসের মধ্যেই প্রাণ হারালেন ওই রোগী। বুধবার রাতে মৃত্যু হয় ওই মার্কিন নাগরিকের।

আরও পড়ুন- বাড়তি ২.৫ লাখ প্রার্থী পাবেন চাকরির সুযোগ, RRB NTPC নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত রেলের

গত ৭ জানুয়ারি ডেভিড বেনেট নামে ৫৭ বছরের এক মার্কিন নাগরিকের দেহ শূকরের হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপন করা হয়। যে শূকরের হৃদপিণ্ড অপারেশনে ব্যবহার করা হয়েছে সেটির ১০ টি জিনে বদল করা হয়েছিল। পরে ছ’টি মানুষের জিন প্রবেশ করানো হয় সেই শূকরের ডিএনএতে। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হল না ওই ব্যক্তির। জানা গিয়েছে, বিগত কয়েক দিন ধরেই ওই ব্যক্তির শরীর খারাপ হচ্ছিল। পর্যবেক্ষণে ছিলেন তিনি। অবশেষে তাঁর প্রাণ গেল। শেষ কয়েক দিনেই বোঝা গিয়েছিল যে তিনি সুস্থ হবেন না। তাঁকে হাসপাতালের তরফে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছিল। ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ড মেডিক্যাল স্কুল এই গোটা বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছে।

তবে কে ছিলেন এই ডেভিড? জানা যায়, একেবারে শয্যাশায়ী হয়ে পড়েছিলেন তিনি। তাই তাঁর ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বাধ্য হয়েছিল চিকিৎসক মহল। এই ব্যক্তির ওপরই ঝুঁকি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন সার্জন বার্টলে গ্রিফিথ। প্রথমে শূকর থেকে ৩ টি জিন বাদ দেন তিনি, তারপর সব মিলিয়ে ১০ টি জিনে অদল-বদল করা হয়। সেই জিনটিকেও বাদ দেওয়া হয় যেটি শূকরের হৃদপিণ্ডের মাত্রাতিরিক্ত বাড়বাড়ন্তের জন্য দায়ী। তাতেও আখেরে লাভের লাভ কিছুই হল না।  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thirteen − four =