কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে সিবিআই-এর পাশাপাশি তদন্ত শুরু করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-ও৷ বুধবার এই মামলায় তাপস মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কলকাতায় ডেকে পাঠান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। এই তাপস প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলেই পরিচিত৷ বুধবার দুপুর পৌনে ১২ টা নাগাদ ইডি অফিসে হাজির হন তিনি। ইডির অফিস থেকে যখন বেরিয়ে যান, তথন ঘড়িতে রাত্রি সাড়ে ১০টা৷ ইডি সূত্রে খবর, অফলাইনে ভর্তির যে তালিকা তাপস দিয়েছেন, সেই তালিকার সঙ্গে টাকার হিসেবের গড়মিল রয়েছে। টানা ১০ ঘণ্টা জেরার পরেও সেই হিসেব মেলানো যায়নি৷ অঙ্ক মেলাতেই আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ফের তলব করা হয়েছে মানিক ঘনিষ্ঠকে৷ সকাল ১১টা নাগাদ নথি হাতে ইডি অফিসে হাজিরা দেওয়ার কথা তাঁর৷
আরও পড়ুন- ধীরে হলেও ফের বঙ্গের সংক্রমণের গ্রাফ উঠছে, যা বলছে তথ্য
গতকাল ইডি অফিসে হাজিরা দেওয়ার আগে বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন তাপস মণ্ডল। তাঁর দাবি, অফলাইন রেজিস্ট্রেশনের জন্য যে টাকা নেওয়া হত, তা লোক পাঠিয়ে সংগ্রহ করতেন মানিক ভট্টাচার্য। ডিএলএড প্রশিক্ষণের যে ৬০০টি কলেজ রয়েছে৷ যে সব শিক্ষার্থীরা অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের জন্য নির্ধারিত তারিখের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন করাতে পারতেন না, তাঁদের নাম অফলাইনে নথিভুক্ত করার ব্যবস্থা করে দিতেন মানিক। বিনিময়ে মাথাপিছু ৫ হাজার টাকা করে নিতেন তিনি।
অফলাইনে ভর্তির টাকা তাঁর মহিষবাথানের অফিসে গিয়ে মানিককে দেওয়া হয়েছিল কি না, সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে উত্তরে তাপস বলেছিলেন, ‘অফিস থেকে লোক পাঠিয়েছিল। আমার স্টাফরা তেমনটাই জানিয়েছে৷’ তাঁর কথায় স্টাফরা বলেছে, ‘অফিস থেকেই ফাইল ও টাকা যেত। কার কাছে যেত সেই টাকা? প্রশ্ন করতেই তাপস জানান, ‘নিশ্চয়ই উনি লোক পাঠাতেন মানে ওনার কাছেই যেত।’ কে পাঠাতেন, উনি বলতে কাকে বোঝাতে চাইছেন? উত্তর, ‘মানিক বাবু।’
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>