কলকাতা: রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে যে সমস্ত রায় বেরিয়েছে মূলত তার নেপথ্যে আছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই এই মামলায় একাধিক গ্রেফতারি হয়েছে, বড় বড় অনেক তথ্য সামনে এসেছে। নিয়োগ নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। শুক্রবারও একাধিক নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তবে পর্ষদের আইনজীবী সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথোপকথনে তিনি একটা জিনিস স্পষ্ট করে দিয়েছেন। কী বলেছেন বিচারপতি?
আরও পড়ুন- অনুব্রতের বাড়ির পরিচারক থেকে কাউন্সিলর! সেই মুনের ব্যাঙ্ক থেকে কোটি টাকার লেনদেন!
এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, তিনি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বাধা হয়ে দাঁড়াবেন না। কিন্তু যদি দেখেন যে গুরুতর অভিযোগ আসছে, সেক্ষেত্রে তিনি অবশ্যই হস্তক্ষেপ করবেন। নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে পর্ষদের আইনজীবী সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এমনই মন্তব্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। তাঁর কথায়, চাকরি দেওয়াটা জরুরি। তাই স্বচ্ছভাবে, নিরপেক্ষভাবে পর্ষদ নিয়োগ প্রক্রিয়া চালাক, এটাই আশা। এমনকি যদি কোনও অভিযোগও আসে তার বিচার চলতে পারে, কিন্তু প্রক্রিয়া বন্ধ করার পক্ষে তিনি নন। তবে কোনও গুরুতর অভিযোগ সামনে আসলে তা এড়ানো যাবে না। স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।
এদিনই প্রশ্ন ভুল মামলায় এবার বড় নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ২১৫ জনকে অবিলম্বে ৬ নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ২০১৪ সালের প্রাইমারি টেট পরীক্ষায় ৬টি প্রশ্নের ভুল থাকা নিয়ে মামলা রুজু হয়েছিল। সেই মামলাতেই এই নির্দেশ এসেছে। আবার ২০১৪ এবং ২০১৭ সালের টেটের সংরক্ষিত বিভাগের যারা ১৫০ নম্বরের মধ্যে ৮২ নম্বর পেয়েছে সেইসব অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।