শখ বড় বালাই! স্রেফ চাঁদা তুলে আস্ত একটা দ্বীপ কিনলেন দুই বন্ধু

শখ বড় বালাই! স্রেফ চাঁদা তুলে আস্ত একটা দ্বীপ কিনলেন দুই বন্ধু

নয়াদিল্লি: শখ বড় বালাই! জমি-বাড়ি কেনার ইচ্ছা কার না থাকে? কিন্তু তা বলে আস্ত একটা দ্বীপ! তাও আবার চাঁদা তুলে? হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন৷ চাঁদা তুলে আস্ত একটি দ্বীপ কিনে ফেললেন দুই বন্ধু৷ 

আরও পড়ুন- জনবসতিপূর্ণ এলাকায় জোড়া বিস্ফোরণ! ফের বৈঠকে ইউক্রেন-রাশিয়া

ওই দ্বীপটির নাম কফি কায়ে৷ ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে যে অসংখ্য দ্বীপ ছড়িয় ছিটিয়ে রয়েছে তারই মধ্যে এটি একটি৷ আপাতত কফি কায়ের মালিক গ্যারেথ জনসন এবং মার্সাল মায়ের৷ এই দ্বীপের তাঁরাই রাজা, আবার তাঁরাই প্রজা৷ দ্বীপটি জনবসতি শূ্ন্য হলেও নিজস্ব সরকার আছে৷ আছে জাতীয় পতাকা ও প্রতীক৷ তবে এখনও পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদা পায়নি কফি কায়ে৷ তবে মাইক্রোনেশন বা ক্ষুদ্রতম দেশের মর্যাদা পেলেও পেতে পারে৷ 

কফি কায়ের দুই সম্রাটের একটাই ইচ্ছা, ভবিষ্যতে দেশের মর্যাদা পাক তাঁদের দ্বীপ৷ এমন নির্জন দ্বীপকে নিজের করে পাওয়ার সুপ্ত বাসনা হয়তো অনেকেরই থাকে৷ তবে এতদিন তা পূরণের সাহস ধনকুবেররাই দেখিয়েছে৷ তবে গ্যারথ এবং মার্শাল বুঝিয়ে দিয়েছেন, দ্বীপ কেনার জন্যে পরিকল্পনা ও বুদ্ধিদীপ্ত সিদ্ধান্তই আসল কথা৷ ২০১৮ সাল থেকে শুরু হয় তাঁদের এই পরিকল্পনা৷ অনলাইনে খেলার ছলে চাঁদা তুলতে শুরু করেন তাঁরা৷ সেখানেই অবশ্য গোটা বিষয়টা উল্লেখ করে দিয়েছিলেন তাঁরা৷ 

দ্বীপ

‘আসুন একটি দ্বীপ কিনে ফেলা যাক’— এই শিরোনামে দ্বীপ কিনের যুদ্ধে নামেন দুই বন্ধু। সেই আবেদনে সাড়াও মেলে৷ এক বছরের মধ্যেই আড়াই লক্ষ মার্কিন ডলারের বেশি চাঁদা ওঠে তাঁদের৷ ভারতীয় মূদ্রায় যা প্রায় দু’কোটি টাকার সমান। সেই টাকা দিয়েই আস্ত একটি দ্বীপ কিনে ফেলেন গ্যারেথ এবং মার্শাল৷ বিশ্বের ইতিহাসে কফি কায়েই প্রথম দ্বীপ, যেটা চাঁদা দিয়ে কেনা হয়েছে৷ আপাতত সেখানে চলছে ভ্রমণের তোড়জোড়৷

কফি কাফেতে বেড়াতে যাওয়ার সুযোগ পাবে ১৩টি সংস্থা৷ যাঁরা দুই বন্ধুকে দ্বীপ কেনার জন্য চাঁদা দিয়েছে৷ ভ্রমণার্থীদের আপ্যায়নের দায়িত্বে থাকবেন মার্শাল নিজেই৷ তবে তিনি জানিয়েছেন, দ্বীপটি আকারে নেহাতই ছোট৷ পায়ে হেঁটে কয়েক মিনিটের মধ্যেই পৌঁছে যাওয়া যায় এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত৷ ফলে ভ্রমণের জন্য বিশেষ সময় লাগবে না৷ তবে মার্শালের কথায়, হোক না ছোট৷ নিজের দ্বীপে ভ্রমণের মজাই আলাদা৷ 

আকারে ছোট হলেও কফি কায়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য সকলকে চমকে দেওয়ার মতো৷ আগামী দিনে এই দ্বীপকে পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলাই দুই বন্ধুর লক্ষ্য৷