কলকাতা: সত্তর বছর বয়সে এসে স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ চেয়ে হাইকোর্টে মামলা করলেন বৃদ্ধ৷ স্ত্রীর বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর অভিযোগও এনেছেন তিনি৷ প্রথমে নিম্ন আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করেছিলেন তিনি৷ পরে মামলা হয় কলকাতা হাই কোর্টে৷
আরও পড়ুন- বিজেপির ডেঙ্গি সচেতন মিছিলের অনুমতি দিল হাইকোর্ট, বদলাল রুট
বৃদ্ধের নাম পুরুসত্তম মণ্ডলের বয়স ৭০৷ স্ত্রী পুষ্পরানী মণ্ডের বয়স ৬৪ বছর৷ শুক্রবার এই মামলায় বিচারপতি রাজা শেখার মান্থার নির্দেশ, নিম্ন আদালতে যেভাবে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে তা চলবে। বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্বামী-স্ত্রী একই ছাদের নিচে বসবাস করবেন।
ঝাড়গ্রামের বাসিন্দা পুরুষোত্তম মণ্ডল কলকাতা হাইকোর্টে তাঁর আবেদনে জানান, স্ত্রী পুষ্পরানি এবং তাঁর বড় ছেলে জোড় করে তাঁকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করেছে। এই বাড়ির মালিকানা ছিল পুরুষোত্তমের নামেই৷ কিন্তু, তাঁকে দিয়ে জোর করে সেই বাড়ির মালিকানা লিখিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন তাঁর আইনজীবী।
এদিন মামলার শুনানির পর বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেন, আপাতত একই বাড়িতে স্বামী-স্ত্রীকে থাকতে হবে৷ বড় ছেলে ও ছোট ছেলে প্রতিমাসে বাবা এবং মায়ের হাতে পৃথকভাবে চার হাজার টাকা করে তুলে দেবেন। সেই টাকা দিয়েই বৃদ্ধ এবং বৃদ্ধা নিজেদের সংসার চালাবেন।
পাশাপাশি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যাতে কোনও গণ্ডগোল বা মারামারি না হয়, তা দিকে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে নজর রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>