পুতিনকে ‘একক লড়াই’-এর চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন ইলন মাস্ক, ‘বাজি’ ইউক্রেন

পুতিনকে ‘একক লড়াই’-এর চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন ইলন মাস্ক, ‘বাজি’ ইউক্রেন

ওয়াশিংটন: ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ক্রমশ জোরাল হচ্ছে রাশিয়ার আক্রমণের অভিঘাত৷ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে যখন সারা বিশ্ব যখন তোলপাড়, তখন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন ধনকুবের ইলন মাস্ক৷ পুতিনকে একক লড়াইয়ের চ্যালেঞ্জ জানালেন টেসলা এবং স্পেস এক্স সুপ্রিমো৷  ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি বললেন, কোনও দেশের সমর্থন নিয়ে নয়, বরং একক ভাবে লড়াই করুক রাশিয়া৷ 

আরও পড়ুন- যুদ্ধ বিরোধী রাশিয়ান জনতাকে জেলে ভরছেন পুতিন! ‘কোড’ ভিত্তিক চালু প্রতিবাদ

ইলন বলেন, ‘‘আমি ভ্লাদিমির পুতিনকে একক লড়াইয়ের জন্য চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি৷ আপনি কি এই লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত?’’ সেই সঙ্গে তিনি লিখেছেন ‘বাজি ইউক্রেন’৷ পাশাপাশি এই বিষয়ে নেটিজেনদের সমর্থন রয়েছে কিনা, সেই বিষয়টিও জানতে চেয়েছেন মাস্ক৷ তাঁর কথায়, এই লড়াইয়ের একটাই শর্ত৷ যে জিতবে, সে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ভাগ্য নির্ধারণ করবে৷ 

এর আগে ইউক্রেনকে ইন্টারটেন সংযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার ফন্দি এঁটেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট৷ সেই সময় তাঁর সংস্থা স্টারলিঙ্ক স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইউক্রেনে ইন্টারনেট সংযোগ বজায় রেখেছিল৷ ইউক্রেনের উপ-প্রধানমন্ত্রীর আবেদনে সাড়া দিয়ে রুশ আগ্রাসনের মধ্যেও সে দেশে ইন্টারনেট অ্যাক্সেস বজায় রাখতে সাহায্য করেছিলেন ইলন মাস্ক৷ সেই সময় টুইট করে স্পেস এক্স-এর কর্ণধার বলেছিলেন, ইউক্রেনকে দেওয়া স্টারলিঙ্কের ইন্টারনেট ব্যবস্থা রুশ সেনারা প্রাথমিক ভাবে ‘জ্যাম’ করে দিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত স্টারলিঙ্কের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি প্রকৌশলের সঙ্গে তাঁরা আর এঁটে উঠতে পারেনি৷ 

মাস্ক টুইটে আরও লিখেছেন, ‘গত ১ মার্চ যুদ্ধ চলার মাঝেই  বেশ কয়েকটি এলাকায় স্টারলিঙ্কের অনেকগুলি টার্মিনাল জ্যাম করে দেওয়া হয়৷ অন্তত দু’দিন এই ভাবে চলে৷ কিন্তু এর পর আমরা আমাদের সফ্‌টওয়্যারগুলিকে আরও নিখুঁত করে তুলি। যার ফলে রুশ সেনার  সেই জ্যামিং-কে ছিন্নভিন্ন করে ইউক্রেনে ফের স্টারলিঙ্কের ইন্টারনেট যোগাযোগ চালু করা সম্ভব হয়।’  তিনি জানান, স্পেস এক্স  দ্রুত গতিতে সাইবার সিকিউরিটি ব্রিট এবং সিগন্যাল জ্যামিং কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে৷ তবে মাস্ক এও জানিয়ে দিয়েছেন, স্টারলিঙ্কে রাশিয়ান মিডিয়া আউটলেটগুলিকে ব্লক করবেন না৷ তিনি বলেন, ‘বেশ কিছু দেশ (ইউক্রেন বাদে) স্টারলিঙ্ককে রাশিয়ান সংবাদের উৎসগুলিকে ব্লক করতে বলেছে। কিন্তু, বন্দুকের মুখে বসানো না হলে আমরা সেটা করব না৷’