কলকাতা: রাজ্য রাজনীতিতে বড় চমক! শুক্রবার দুপুরে হঠাৎ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে হাজির বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্গে বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল এবং মনোজ টিগ্গা। এই প্রথম বিধানসভায় মমতার ঘরে ঢুকলেন বিরোধী দলনেতা৷
আরও পড়ুন- মেয়েকে পুতুল আর দেওয়া হল না,পথেই খুন নদিয়ার তৃণমূল নেতা,CID তদন্তের দাবি স্ত্রীর
বাংলার নতুন রাজ্যপাল সি.ভি আনন্দ বোসের শপথগ্রহণকে কেন্দ্র করে নতুন করে উষ্ণ হাওয়া রাজ্য রাজনীতিতে। রাজ্যপালের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেননি শুভেন্দু৷ তার দায় তিনি ঠেলেছেন মুখ্যমন্ত্রীর দিকে। এই ঘটনার দু’দিনের মাথায় বিধানসভায় মুখোমুখি দুই প্রাক্তন সতীর্থ। এদিকে, শুভেন্দুর সাক্ষাতের পর মমতা বলেন, ‘‘শুভেন্দুকে চা খেতে ডেকেছিলাম।’’ মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়েই নাকি বিধানসভায় তাঁর ঘরে গিয়েছিলেব রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে শুভেন্দুর বক্তব্য, এটা ছিল ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’।
একুশের বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এর অনেক আগে থেকেই অবশ্য দলনেত্রীর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল তাঁর। বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে তাঁরা ছিলেন একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী৷ ওই কেন্দ্র থেকে অবশ্য জয়ী হয়েছিলেন শুভেন্দু। পরে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে জিতে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি পাকা করেন মমতা। এর জন্য অবশ্য মমতাকে ‘কম্পার্টমেন্টাল মুখ্যমন্ত্রী’ বলে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি শুভেন্দু। ‘পিসি-ভাইপো লিমিটেড কোম্পানি’ বলে তুলোধোনা করেছেন তৃণমূলকে৷ পাল্টা ঝাঁঝালো আক্রমণ শানিয়েছেন মমতাও। মীরজাফর, গদ্দার বলে চোপ দেগেছেন৷ তাঁকে লোডশেডিং বিধায়ক বলে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল৷ এর পর সরাসরি শুভেন্দুর নাম না নিলেও ঠাণ্ডা যুদ্ধ চলছিলই। তারই মধ্যে আজ সকলকে চমকে দিয়ে মমতার ঘরে গেলেন শুভেন্দু।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>