কলকাতা: কর্মশিক্ষা-শারীরশিক্ষায় শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে জটিলতা বহাল থাকল। কারণ এই নিয়োগে বেড়েছে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু জানিয়েছেন, আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশের মেয়াদ বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থাৎ চলতি বছরে যে এই নিয়োগ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হবে না, তা স্পষ্ট। অতিরিক্ত শূন্যপদ মামলায় এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- লক্ষ্য ছিল সোনার দুল, মহিলার কানটাই কেটে নিয়ে গেল দুষ্কৃতীরা!
২০১৬ সালের কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার প্রার্থীদের পরীক্ষার ভিত্তিতে নিয়োগের তোড়জোড় শুরু করে কমিশন। অতিরিক্ত ৭৫০ শূন্যপদ তৈরি করে নিয়োগের প্রস্তুতি নেয় তারা। কিন্তু এক চাকরিপ্রার্থীর মামলার ভিত্তিতে সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। পরবর্তীতে সেই মামলা ফের আদালতে উঠলে বিচারপতির প্রশ্নের মুখে পিছু হঠে স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং আগের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত স্থগিতাদেশ ছিল নিয়োগে। সেই নির্দেশ আরও বাড়ল।
এদিকে, গ্রামে স্কুলে শিক্ষক হিসেবে যোগ দিতে অনিহা নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন বিচারপতি। তাঁর বক্তব্য, শহরে বহু স্কুলে শিক্ষক আছে, কিন্তু ছাত্র নেই। এই শিক্ষকদের গ্রামের স্কুলে পাঠালে ভাল। কারণ সেখানে পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই। তবে শহরের শিক্ষক যদি গ্রামে না যেতে চান তাহলে চাকরি ছাড়তে হবে, এমন নীতি নির্ধারণ করা প্রয়োজন বলেই তিনি মনে করেন।