কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা। পিছিয়ে গেল ডিএ মামলার শুনানি। বুধবার শীর্ষ আদালতের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং হৃষিকেশ রায়ের বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বেঞ্চ থেকে সরে দাঁড়ান দীপঙ্কর দত্ত। কিছু দিন আগেই সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি হিসেবে যোগ দিয়েছেন তিনি। তাঁর সরে যাওয়ার ফলে নতুন করে বেঞ্চ পুনগর্ঠন করতে হবে৷ তার আগে পর্যন্ত ডিএ মামলার শুনানি স্থগিত থাকবে। জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে এই মামলার শুনানি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে৷
আরও পড়ুন- ‘সরকারের ভূমিকা ঠিক থাকলে মুখ্যমন্ত্রীর কাজের প্রশংসা করব’, মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
এত দিন ডিএ সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলছিল বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং হৃষিকেশ রায়ের বেঞ্চে। কিন্তু পরে বেঞ্চ পুনর্গঠিত হয় এবং বিচারপতি দত্ত এবং রায় এই মামলাটি শুনবেন বলে জানায় শীর্ষ আদালত৷ গত ৫ ডিসেম্বর রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা মামলায় সবপক্ষের হলফনামা তলব করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। ১৪ ডিসেম্বরের আগে হলফনামা জমা দিতে বলা হয়েছিল তাদের। ফলে আজকের শুনানির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন ডিএ মামলার আবেদনকারীরা। কিন্তু, মামলাটি শুনতেই চাইলেন না বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। শোনা যাচ্ছে, এবার নতুন কোনও বিচারপতির অধীনে মামলার পরবর্তী শুনানি হবে৷
বকেয়া ডিএ-র দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। কলকাতা হাই কোর্ট থেকে মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। শেষ শুনানিতে শীর্ষ আদালতে রাজ্যের হয়ে সওয়াল করেছিলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তথা বর্ষীয়ান আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙভি। তিনি বলেছিলেন, “বকেয়া ডিএ মেটাতে হলে রাজ্যের ঘাড়ে বিরাট আর্থিক বোঝা চাপবে।” এই বিষয়টি পুনর্বিবিবেচনা করার আর্জিও জানান তিনি। অন্যদিকে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যর পাল্টা দাবি ছিল, ডিএ সরকারি কর্মচারীদের অধিকার। সব রাজ্যেই দেওয়া হয়। দু’পক্ষের সওয়াল জবাবের পর সব পক্ষের হলফনামা তলব করে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু এদিন ফের শুনানি পিছিয়ে যাওয়ায় হতাশ ডিএ মামলার আবেদনকারীরা।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>