কলকাতা: বিতর্কে মাদ্রাসা নিয়োগ৷ মাদ্রাসার প্রধানশিক্ষক হওয়ার জন্য যে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল, তাতে প্রশ্ন ভুল ছিল। কিন্তু তা নিয়ে কোনও অভিযোগ ওঠেনি৷ এর পর পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয় এবং নিয়োগ প্রক্রিয়াও অনেকটা এগিয়ে যায়। প্রধানশিক্ষক হিসাবে কাজে যোগ দেওয়ার জন্য অনেকের হাতে নিয়োগপত্রও পৌঁছে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার মাদ্রাসা নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ, ভুল প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সব পরীক্ষার্থীকেই বাড়তি নম্বর দিতে হবে। আদালতের এই নির্দেশের জেরে রাজ্যের মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের ওই প্রধানশিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া বিপর্যস্ত হতে চলেছে বলে মনে করছে কমিশন।
এদিনের কমিশনের তরফে বলা হয়, এই মুহূর্তে পরীক্ষার্থীদের নম্বর বাড়ানো হলে অনেক প্রার্থীই শিক্ষকের চাকরি পাওয়ার যোগ্য হিসাবে বিবেচিত হবেন। ফলে নতুন করে তাঁদের ইন্টারভিউ নিতে হবে। ফের প্যানেল বসাতে হবে। বিস্তর হ্যাঁপা পোহাতে হবে কমিশনকে। এই বক্তব্য শোনার পর মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনকে ৭ দিন সময় দিয়েছে উচ্চ আদালত। সেই সঙ্গে নির্দেশ, ২১ নভেম্বরের মধ্যেই কমিশনকে ঠিক করে নিতে হবে, কী ভাবে এই বাড়তি নম্বর দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করবেন কর্তৃপক্ষ।
ভুল প্রশ্নের বিষয়টি সামনে আসে মাদ্রাসার প্রধানশিক্ষক পদের আবেদনকারী মিজানুর ইসলামের দায়ের করা মামলা থেকে। সপ্তম এসএলএসটি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরও ইন্টারভিউতে ডাক পাননি তিনি৷ কাট অফ মার্কস ছিল ৬১। মামলাকারী পেয়েছিলেন ৬০.৫৷ তিনি আদালতকে জানান, পরীক্ষায় একটি প্রশ্নের উত্তরের বিকল্প ভুল ছিল। সেই প্রশ্নের জন্য তাঁর বাড়তি নম্বর পাওয়া উচিত। গত ২৮ জুলাই মিজানুরের হয়ে আদালতে হাই কোর্টে মামলা করেন আইনজীবী আলি এহসান আলমগীর এবং রাবিয়া খাতুন। এদিন সওয়াল জবাবের পর বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের নির্দেশ, যাঁরা ভুল প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন, তাঁদের সকলকে বাড়তি ১ নম্বর দিতে হবে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>