রামপুরহাট: বগটুই কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের মৃত্যু হয়েছে সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন। পরিবারের অভিযোগ তাকে খুন করা হয়েছে। ওদিকে, সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পের শৌচালয় থেকে লালনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার অনেক প্রশ্ন তুলেছে। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি। আর এদিন রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরে খতিয়ে দেখল ফরেনসিক দল।
আরও পড়ুন- নতুন বছর জেলেই থাকবেন ‘অপা’, নির্দেশ আদালতের
সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরে যে শৌচালয় রয়েছে সেখানে কি আদৌ গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে পড়া সম্ভব? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই এদিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ফরেনসিক দল। শিবিরের বিভিন্ন জায়গা খুঁটিয়ে পরীক্ষা করেন তারা এবং একই সঙ্গে যে জায়গা থেকে লালনের ঝুলন্ত দেহ মিলেছিল সেখানে আলাদাভাবে মাপঝোপ চলে। শৌচালয়ের যে নল থেকে তার দেহ ঝুলছিল সেই নলও পরীক্ষা করা হয়েছে যাতে বোঝা যায় যে, এই নল কতটা ভার বহন করতে সক্ষম। আদতে কোনও মানুষের ভার কি সে নিতে পারে?
ইতিমধ্যেই লালনের পরিবারের বিস্ফোরক অভিযোগ, লালনকে বিরাট মারধর করে সিবিআই, তার দেহ নীল হয়ে গিয়েছিল। এছাড়া তাঁদের হুমকিও দেওয়া হয়, লালনকে শেষ বার দেখে নিয়ে বলে। পাশাপাশি এও দাবি করা হয়েছে, সিবিআই ৫০ লক্ষ টাকা ঘুষ চেয়েছিল। এদিকে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ, লালনের পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত চালিয়ে যাবে সিআইডি। তবে সিবিআইয়ের যে সাত আধিকারিকের বিরুদ্ধ এফআইআর করা হয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ করা যাবে না৷ কারণ তাঁরা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্তের সঙ্গে জড়িত৷