কলকাতা: বগটুই কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের মৃত্যু হয়েছে রামপুরহাটে সিবিআই ক্যাম্পে। এই নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই বিশাল চাপে রয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। কারণ তাঁদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তোলা হয়েছে লালনের পরিবারের তরফে। আবার রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলও নিশানা করেছে বিজেপিকে। এবার কলকাতা হাইকোর্ট এই ঘটনার প্রসঙ্গে সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল। এদিন গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের এক মামলার শুনানিতে ওঠে লালন মৃত্যু প্রসঙ্গ। তাতেই অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি।
আরও পড়ুন- নতুন বছর জেলেই থাকবেন ‘অপা’, নির্দেশ আদালতের
অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের মামলা চলাকালীন সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী। বিচারাধীন বন্দিকে নজরে রাখা কি সিবিআইয়ের কর্তব্য নয়? এই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। আসলে এদিন অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী তাঁর মক্কেলের জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু সিবিআই তার বিরোধিতা করে বলে, লালন শেখের মৃত্যুর পর তদন্তকারী অফিসারদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। তাই এই অবস্থায় অনুব্রতের জামিন দেওয়া কোনও ভাবেই উচিত নয়। তখনই বিচারপতি সেই কথার প্রেক্ষিতেই অসন্তোষ প্রকাশ করে এই প্রশ্ন তোলেন।
ইতিমধ্যেই লালন মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি। বৃহস্পতিবার আবার রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবির খতিয়ে দেখেছে ফরেনসিক দল। যে শৌচালয় রয়েছে সেখানে কি আদৌ গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে পড়া সম্ভব? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ফরেনসিক দল। শিবিরের বিভিন্ন জায়গা খুঁটিয়ে পরীক্ষা করেন তারা এবং একই সঙ্গে যে জায়গা থেকে লালনের ঝুলন্ত দেহ মিলেছিল সেখানে আলাদাভাবে মাপঝোপ চলে।