এফআইআর ছাড়াও শুভেন্দুকে গ্রেফতার করা যায়, উদাহরণ আমি নিজে! মন্তব্য কুণালের

এফআইআর ছাড়াও শুভেন্দুকে গ্রেফতার করা যায়, উদাহরণ আমি নিজে! মন্তব্য কুণালের

কলকাতা: আসানসোলের কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠান ঘিরে যে কাণ্ড ঘটেছে তাতে এখনও উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করে ইতিমধ্যেই আসরে নেমেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এই ঘটনার দায় নেওয়ার কথা বলে আক্রমণ শানিয়েছেন খোদ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থাকে। এদিন আবার তাঁর নাম করে শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করলেন তিনি এবং তাঁকে গ্রেফতার করার দাবি তুললেন। এই প্রেক্ষিতেই নিজের প্রসঙ্গ টানলেন কুণাল।

আরও পড়ুন: শুভেন্দুর অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে মৃত ৩, কম্বল বিতরণ করতে গিয়ে দুর্ঘটনা

কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার একক বেঞ্চ বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীকে ‘রক্ষাকবচ’ দিয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ২৬ টি এফআইআরে স্থগিতাদেশ দেওয়ার পাশাপাশি নতুন কোনও এফআইআর করা যাবে না বলেও নির্দেশ দিয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এদিন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ টুইট করে বলেন, ”পুলিশ শুভেন্দুকে যে কোনও সময়ে গ্রেফতার করতে পারে। বিচারপতি মান্থা তাঁকে এফআইআর থেকে সুরক্ষা দিয়েছেন। কিন্তু আইন অনুযায়ী, কোনও রেজিস্ট্রারড মামলায় অন্য কোনও অভিযুক্ত যদি তাঁর নাম নেয় ১৬১ বা ১৬৪ ধারায়, পুলিশ তাঁকে ডাকতে পারে, এমনকি গ্রেফতার করতে পারে। উদাহরণঃ কুণাল ঘোষ নিজে।”

আগেই কুণাল টুইট করে গোটা বিষয় নিয়ে অনেকগুলি প্রশ্ন তুলেছিলেন। তাঁর প্রশ্ন ছিল,  ”শুভেন্দুর অনুষ্ঠানে তিনজনের মৃত্যুর জন্য দায়ী কে? পুলিশকে পাত্তা না দিয়ে অনুমতি ছাড়া সে কী ভাবে একটি অনুষ্ঠান করে? কেন শুভেন্দু নির্দিষ্টভাবে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নাম নেয়? সে নিজেকে আইনের ঊর্ধ্বে কেন ভাবে? এই প্রশ্ন গুলি নিয়ে ভেবে দেখা উচিত।” 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *