গ্রামে যাননি চার বছর! অভিষেকের নির্দেশে পদ গেল প্রধানের

গ্রামে যাননি চার বছর! অভিষেকের নির্দেশে পদ গেল প্রধানের

কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটের আগে শনিবারের বারবেলায় বিজেপির শক্ত ঘাঁটি রানাঘাটে জনসভা করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সভাস্থল ছিল কানায় কানায় ভরা৷ বিকেল ৩টে নাগাদ মঞ্চে ওঠেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। মতুয়াগড়ে অভিষেকের সভা ঘিরে ছিল চরম উন্মাদনা৷ 

আরও পড়ুন- ‘ভুল-ত্রুটি হলে ক্ষমা করবেন, মুখ ফিরিয়ে নেবেন না’, রানাঘাটের সভা থেকে আর্জি অভিষেকের

পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে একমাস আগে এই নদিয়া থেকেই জেলাসফর শুরু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, এই নদিয়াতেই বারবার প্রকাশ্যে এসেছে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব৷ টেট দুর্নীতির অন্যতম অভিযুক্ত অপসারিত পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের জেলাও নদিয়া। তিনি এই জেলারই পলাশিপাড়ার বিধায়ক৷ একইসঙ্গে এই জেলায় রয়েছে মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক। ফলে নদিয়া সব দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ শাসকদলের কাছে৷ এদিনের সভা থেকে অভিষেক বলেন, ‘‘ভুল হলে আমাকে, আমাদের দলকে ক্ষমা করবেন। পরিযায়ীদের জায়গা দেবেন না৷’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের কিছু মানুষের জন্যই রানাঘাটের মানুষ মুখ ফিরিয়েছেন। আর হবে না। এখন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক আমি। আমাকে যখন ডাকবেন তখনই পাবেন৷’’ সভা থেকে পঞ্চায়েত প্রধানের খোঁজ নেনে সাসংদ৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি খবর পেয়েছি তাতলা ১ পঞ্চায়েতেের প্রধান নির্বাচিত হওয়ার পর চার বছর গ্রামেই যাননি৷ তিনি প্রধান থাকবেন কেন? চাকদায় তাতলা ১ পঞ্চায়েতের ধনিচার প্রধানকে বলব সোমবারের মধ্যে ইস্তফা দিন। প্রধানের নাম পার্থ প্রতীম দে৷’’ মঞ্চ থেকে প্রধানের নাম করে তাঁর কড়া বার্তা, ‘‘চেয়ারে বসার আপনার কোনও অধিকার নেই৷   সোমবার সকালের মধ্যে আমার কাছে আপনার ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেবে৷ ’’