দুবরাজপুর: তিনি এক তৃণমূল কর্মীকে খুনের চেষ্টা করেছিলেন৷ এই অভিযোগে দুবরাজপুর আদালতের বিচারক ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলকে৷ মঙ্গলবার সকালে কেষ্টকে দুবরাজপুর আদালতে হাজির করানো হলে তাঁকে পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। কিন্তু মঙ্গলবার আদালতে পৌঁছনোর আগেই নয়া বিতর্কে জড়ান বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। নিয়মমাফিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল দুবরাজপুর হাসপাতালে। সাধারণত, বিচারাধীন বন্দিদের হাসপাতাল চত্বরে ঢোকার পর গাড়ি থেকে নামিয়ে ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু অনুব্রত গাড়ি থেকে নামলেনই না৷ উল্টে চিকিৎসকেরা গাড়ির সামনে ছুটে আসেন এবং সেখানেই তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। অনুব্রতকে এই বাড়তি সুবিধা কেন? প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছেন হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের আত্মীয়স্বজনদের একাংশ৷
আরও পড়ুন- কাজের প্রাপ্য টাকা মেলেনি! তথ্যমিত্র কেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ, জমা পড়ল ডেপুটেশন
দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতালে যখন অনুব্রতকে নিয়ে পুলিশের গাড়ি ঢোকে, তখন ঘড়িতে ২ টো বেজে ২০ মিনিট। গাড়ির চালকের ঠিক পিছনের আসনে বসেছিলেন অনুব্রত। গাড়ি হাসপাতালে ঢোকার পরই খুলে দেওয়া হয় দরজা। চিকিৎসকেরা তাঁর কাছে ছুটে আসেন। গাড়িতে বসে থাকা অনুব্রতর পরীক্ষানিরীক্ষা করেন তাঁরা৷ অনুব্রতের ক্ষেত্রে নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। অনুব্রত বলেই কি এই বাড়তি সুবিধা? মিনিট কুড়ি ধরে অনুব্রতকে পরীক্ষানিরীক্ষা করার পর বন্ধ করে দেওয়া হয় গাড়ির দরজা৷ তাঁকে নিয়ে দুবরাজপুরের আদালতের উদ্দেশে রওনা দেয় পুলিশ৷
অনুব্রতর সঙ্গে প্রভাবশালীর তকমা আগেই জুড়েছে৷ তিনি যে কতটা প্রভাবশালী, তা নিয়ে আদালতে বহুবার সওয়ালও করেছেন ইডি বা সিবিআইয়ের আইনজীবীরা। আইন মহলের একাংশের মত, অনুব্রতের প্রভাবশালী তকমাতেই তাঁর জামিন বিলম্বিত হচ্ছে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>