কলকাতা: এখনও শেষ হয়নি কোভিড৷ ফের চোখ রাঙাতে শুরু করেছে মারণ ভাইরাস৷ দেশবাসীকে সতর্ক করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য৷ পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে বললেন তিনি৷ বসলেন জরুরি বৈঠকে৷
তিন বছর আগে, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে চিনে প্রথম হানা দিয়েছিল করোনা সংক্রমণ৷ ২০২২-এর ডিসেম্বরে সেই চিনেই ফের চোখ রাঙাতে শুরু করেছে এই মারণ ভাইরাস। ফের বাড়তে শুরু করেছে সংক্রমণ। প্রাণ কারছে কোভিড। এই পরিস্থিতিতে সতর্ক ভারত।
আরও পড়ুন- লালন মৃত্যুর তদন্তে সিআইডি, ভরসা রাখল হাইকোর্ট
এদিকে, ২ বছর ১০ মাস পর রাজ্যে বন্ধ হয়ে গেল দৈনিক কোভিড বুলেটিন প্রকাশ৷ করোনা যখন আমাদের রাজ্যে সে ভাবে থাবা বসাতে পারেনি, তখন থেকেই বুলেটিন প্রকাশ করতে শুরু করেছিল রাজ্য সরকার৷ ২০২০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম কোভিড বুলেটিন প্রকাশ করে স্বাস্থ্য ভবন৷ তারপর থেকে লাগাতার কোভিড বুলেটিন প্রকাশ করা হচ্ছিল৷ স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, রাজ্যে করোনা গ্রাফ তলানিতে৷ সেই কারণেই বুলেটিন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ বলা হয়েছে, পরিস্থিতি পরিবর্তন হলে ফের বুলেটিন প্রকাশ করা হবে৷ ১৯ ডিসেম্বর শেষ কোভিড বুলেটিন দেওয়া হয়৷
এদিকে, চিনে ফের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করায় চিন্তার ভাঁজ ভারতের কপালেও৷ ইতিমধ্যেই দেশে সতর্কতা জারি করা হয়েছে৷ রাজ্যগুলিকে করোনার জিনোম সিক্যুয়েন্সিং পরীক্ষা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। স্বাস্থ্যসচিবের দেওয়া চিঠিতে লেখা হয়েছে, করোনার কোনও নতুন প্রজাতি এসেছে কিনা, তা খুঁজে বার করতে হবে৷ করোনা কোন পথে নিজের রূপ বদলাচ্ছে, সেই বিষয়ে নজর রাখতে চাইছে সরকার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে চিনের প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষের করোনা আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভারত কতটা আতঙ্কিত? এ প্রসঙ্গে এইমস-এর প্রাক্তন ডিরেক্টর চিকিৎসক রণদীপ গুলেরিয়া এক প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমকে জানান, টিকাকরণের জেরে করোনার বিরুদ্ধে ভারতীয়দের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বেশ জোরদার। তাই এখনই আতঙ্কের কিছু নেই। তবে সাবধানতা বাঞ্ছনীয়৷
এদিকে, চিনে সংক্রমণের গ্রাফ বাড়তেই স্বাস্থ্য মন্ত্রকের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী৷ বৈঠকের পর মনসুখ মাণ্ডব্য বলেন, “বিশ্বের বেশ কিছু দেশে নতুন করে কোভিড বাড়তে শুরু করেছে। সেই প্রেক্ষাপটে ভারতের পরিস্থিতি কী, তা বিবেচনা করে দেখতেই আজকের এই বৈঠক। কোভিড এখনও শেষ হয়নি। আমি সমস্ত স্তরে সচেতন থাকার কথা বলেছি৷ সেই সঙ্গে নজরদারি চালানোর নির্দেশও দিয়েছি। যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত।”
কোভিড সংক্রমণ কমার পর থেকে মাস্ক কার্যত বিদায় নিয়েছিল৷ কোনও খানেই এখন মাস্ক আর বাধ্যতামূলক নয়৷ তবে এদিনের বৈঠকে নতুন করে মাস্ক পরার কথা বলা হয়েছে৷ জনবহুল এলাকায় মাস্ক পরার আবেদন জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য৷ সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, কোভিড রুখতে টিকাকরণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে৷ যাঁরা বুস্টার ডোজ নেননি, তাঁদের এই ডোজ নিয়ে নেওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>